সিলেটের ওসমানীনগরে বিগত কয়েকদিন থেকে অতিরিক্ত দামে গরুর মাংস বিক্রি নিয়ে তুলকালাম ঘটছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি না করে বেশি দামে গরুর মাংস বিক্রির অপরাধে শনিবার বিকালে উপজেলার বাণিজ্যিক প্রাণ কেন্দ্র গোয়ালাবাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা প্রশাসন।

 


 

 

এসময় বেশি মূল্যে গরুর মাংস বিক্রির অপরাধে দুই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যা পর থেকে রবিবার বিকাল পর্যন্ত জরিমানা প্রদানকারী গরুর মাংস বিক্রির দুটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এতে করে মাংস কিনতে আসা অনেকই বিপাকে পড়েছেন। 

 

 

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বাজার থাকলেও প্রতিদিন গরু এবং খাশির মাংস বিক্রি হয় গোয়ালাবাজারের ভাই ভাই মিট হাউজ এবং মামুন মিট হাউজে। দয়ামীর বাজারে আরো দুটি দোকান থাকলেও সেখানে প্রতি বৃহস্পতিবারে গরুর মাংস বিক্রি হয়। তাজপুর বাজারে একটি মাংস বিক্রির দোকান দির্ঘ দিন থেকে রয়েছে বন্ধ। এছাড়া, উমরপুর বাজার, বুরুঙ্গা বাজার, কলারাই বাজারসহ কয়েকটি বড় বাজারে গরুর মাংসের দোকান না থাকায় ক্রেতারা প্রতিদিন মাংস কিনতে আসেন গোয়ালাবাজারে।

 

 

 


এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রমজানের আগে থেকেই গোয়ালাবাজরে প্রতি কেজি গরুর মাংস ১১শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল। এই নিয়ে ক্রেতারা প্রতিবাদ করলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশিনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব দাশ পুরকায়স্ত। এসময় গোয়ালাবাজারের দুই মাংস বিক্রেতা ও দুই ফল ব্যবসায়িকে ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গোয়ালাবাজারের মাংস বিক্রেতা ভাই ভাই মিট হাউজ এবং মামুন মিট হাউজ সরকার নির্ধারিত মূল্যের বেশি দরে মাংস বিক্রি করায় ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয়। এবং সরকার নির্ধারিত ৬৬৪ টাকা দরে বিক্রি করার নির্দেশ দেয়া হয়। ভ্রম্যমান আদালত পরিচালনার পরে শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে এই দুই প্রতিষ্টান বন্ধ করে দেন বিক্রেতারা। গতকাল রবিবার বিকালে এই রির্পোট লেখা পর্যন্ত দুটি দোকান বন্ধ রয়েছে। 

 

 

 

গরুর মাংস নিতে আসা নজরুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, জানতে পেরেছি গোয়ালাবাজারে সরকার নির্ধারিত মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি হবে। এখানে এসে দেখি দোকানই বন্ধ। পাশাপাশি বাজার এলাকায় কোনো মাংসের দোকান না থাকায় খালি হাতেই বাড়ি ফিরতে হবে। 

 

 


এই বিষয়ে জানতে মাংস বিক্রেতা মামুন মিট হাউজের পরিচালক হাছিব আলীর মোবাইল ফোনে কল দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।

 

 


ভাই ভাই মিট হাউজের পরিচালক চোরাব আলী বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি করলে পুষায় না তাই আমার দোকান বন্ধ রয়েছে। 

 

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহুয়া শারমিন ফাতেমা বলেন, সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকারি নির্দেশ মোতাবেক যা দরকার তা উপজেলা প্রশাসন করবে। 

 

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম / রনিক / ডি.আর