শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে থাকে প্রায় চারশো আশি জন শিক্ষার্থী। বিপরীতে হলে নেই খাবারের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা। এই রমজানে মিল সিস্টেমের কারণে খাবার নিয়ে এ দুর্ভোগ আরও বেড়েছে বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ।

 



তারা জানান, ডাইনিংয়ে আগের দিন মিলের তালিকায় নাম না দিলে মিলছেনা খাবার। এদিকে, রাত ১০টার পর হলে প্রবেশ নিয়ে রয়েছে জটিলতা। তাই এর আগেই বাহির থেকে খাবার খেয়ে না আসলে রাতে পেটে ক্ষুধা নিয়ে ঘুমাতে হয় ছাত্রীদের। দেরি করলে শোকজের বেড়াজলে নানান জবাবদিহিতা পড়তে হয় তাদের।

 


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের ৩টি ও ছাত্রদের ৩টি হল রয়েছে। এর মধ্যে সকল হলেই ডাইনিং ও ক্যান্টিন সুবিধা চালু রয়েছে। রমজান মাস উপলক্ষে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল (তৃতীয় ছাত্রীহল) কর্তৃপক্ষের নির্দেশে উভয় জায়গায় মিল সিস্টেম করার সিদ্ধান্ত নেন ডাইনিং-ক্যান্টিন ব্যবস্থাপকরা। ক্যান্টিনে শিক্ষার্থীদের মিলের খাবারে পছন্দের খাবারের সুযোগ থাকলেও ডাইনিংয়ে সে সুযোগ নেই। ডাইনিংয়ে সেহেরীসহ প্রতি বেলার খাবারে শিক্ষার্থীদের পছন্দ গুরুত্ব পাচ্ছে না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য হলে এমন পদ্ধতি নেই। তাই অন্য হলের সঙ্গে তুলনা করে শিক্ষার্থীরা নানা আলোচনা সমালোচনাও করছেন।

 


শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অন্যান্য হলের তুলনায় এই হলে খাবারের দামও বেশি। তাছাড়া কেউ যে রুমে রান্না করে ডাইনিং থেকে ভাত নিয়ে আসবে, সে সুযোগও নেই। লস হওয়ার অজুহাতে ডাইনিং ব্যবস্থাপকরা সিঙ্গেল কোন ভাতও বিক্রি করে না।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, আজ রাতে খাবার খেতে গেছি। কিন্তু খাবারের তরকারি আমার পছন্দ হয় নাই। তাই না খেয়ে আমি চলে আসতে মামারা আমার থেকে টাকা চার্জ করে। কিন্তু আমি টাকা দেয়নি। পরে খাবারের উপায়ন্তর না দেখে বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী হল থেকে খেয়ে আসি।

 

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, বাসি খাবারের সমস্যা এড়াতে হল কর্তৃপক্ষ এ সিস্টেম চালু করেছে। কিন্তু আমাদের ব্যস্ততার কারণে অনেক সময় মিল অডার করা হয় না। তাছাড়া এ হলে অন্যান্য হলের তুলনায় খাবারের দাম গড়ে ১০/১৫ টাকা বেশি। তাই আমরা এত দুর্ভোগ না ভুগে সেকেন্ড লেডিস হল থেকে খেয়ে আসি।

 

এ বিষয়ে হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. চন্দ্রাণী  নাগ বলেন, রমজানে শিক্ষার্থীরা যাতে কোন বাসির খাবার না খায়। তাই এ মিল সিস্টেম চালু করছি। এতে শিক্ষাথীদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, ডাইনিং কর্তৃপক্ষেরও কোন লস হল না। তাছাড়া আমি আজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিটিং করেছি, বলেছি এতে যদি তাদের সমস্যা তাহলে এ সিস্টেম উইথড্র করে নিব।

 

খাবারের দাম নিয়ে তিনি বলেন, আমি যখন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খাবারের দাম নিয়ে কথা বলি তখন তো তারা বলে দাম ঠিক আছে। কারো যদি খাবারের দাম বেশি মনে হয়, তারা আমার কাছে আসুক, আমাকে বলুক।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ নোমান