মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার হাজীপুর ইউনিয়নে অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন আমেরিকার নিউইয়র্ক প্রবাসীদের প্রিয় মুখ মানবতার ফেরিওয়ালা নামে খ্যাত যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আহমদুর রহমান নোমান। হাজীপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের অসহায় মানুষের পাশাপাশি রোগে আক্রান্ত মাুষের পাশে থাকেন তিনি। গত সোমবার দুপুরে নিজবাড়ীতে ৫০ জন অসহায়দের মাঝে এসব ইফতার সামগ্রী বিতরন করা হয়।  

 


১৮ মার্চ সোমবার দুপুরে সরজমিন আহমেদুর রহমান নোমান এর বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায়, যাদের জোটে না দু’বেলা দু’মুঠো খাবার। এসব দিশেহারা মানুষের মাঝে গত কয়েক বছর ন্যায় এবারও রমজানের ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন অনেকটা নীরবে-নিভৃতে এবং প্রচারও বিমুখ। ইফতার সামগ্রী ছাড়াও বিভিন্ন সময় নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী দিয়েছেন মানবতার ফেরিওয়ালা নামে খ্যাত যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আহমদুর রহমান নোমান। বিভিন্ন গ্রামের অসহায় মানুষের পাশাপাশি রোগে আক্রান্ত মানুষের পাশে থাকেন তিনি। এবারও নীরবে-নিভৃতে প্রচারও বিমুখে এ রমজানে ৫০ জন অসহায় গরীবদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরন করেন।  


প্রতিবারের মতো এবারও সোমবার সকালে মাতাবপুর এলাকার মনুবাজারে নিজ বাড়ীতে প্রবিত্র রমজানে ৫০ জন অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন। কোন আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া দেশের বাড়ীতে থাকা কর্মচারী নিরবে প্রচার বিমুখ ছাড়া বাড়ীতে সারি সারি ইফতার সামগ্রী রেখেছেন। এখান থেকে একজন দুইজন করে আসছেন তা নিয়ে যেথে দেখাগেছে। 


মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমেরিকা থাকা আহমদুর রহমান নোমানের সহযোগিতায় প্রতি বছর রমজানে অসহায়দের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরন করেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে আর্থিক অনুদান ছাড়াও খেলার সরঞ্চাম, চিকিৎসা ও ঘর তৈরি করে দিয়ে থাকেন। এ ভাবে প্রবাসে থাকা লোকজন প্রতি পরিবারের পাশে দাঁড়ালে অসহাত্ব কমে আসবে বলে তিনি মনে করেন। প্রতি রমজানে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু খাদ্য সামগ্রী বিতরণে তাঁর কোন দল নেই। দলমত নির্বিশেষে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ৬শ’ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন আহমদুর রহমান নোমান।


আমেরিকা থেকে আহমদুর রহমান নোমান মোবাইল ফোনে বলেন, দেশের এই পরিস্থিতিতে আমি দায়িত্ব মনে করেছি সাধারণ মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর। ছোট বেলা থেকেই শুনে আসছি, দু’বেলা দু’মুঠো খাওয়ার সংগ্রাম। এই সংগ্রামটাই আমি অসহায়দের জন্য করছি। শুধু খাদ্য সামগ্রীই নয় অসহায় রোগিদের মাঝে নগদ অর্থ চিকিৎসা সামগ্রী ও ঘরবিহীন মানুষকে ঘর দিয়ে সাহায্য করছি। তিনি আরও বলেন, অসহায়দের পেটে যতোদিন ক্ষুধা আছে ততদিন তাদের পাশে থাকতে চাই। এটাই আমার তৃপ্তি। অসহায় মানুষগুলো পেটপুরে খাওয়ার পর তৃপ্তির যে হাসিটা দেয়, এটা আমার কাছে কোটি টাকার সম্বল। আমার এই পরিশ্রম স্বার্থক হয় তখন। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষেরা চাল-ডাল পওয়ার পরে তাদের হাসিমাখা মুখটা দেখার আনন্দটা নিজের চোখে না দেখলে বোঝানো যাবে না। 


উল্লেখ্য- গত বন্যার সময় শতাধিক মানুষের পাশাপাশি ৪ জনের ঘর নির্মান করে দিয়েছেন। গত করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অক্সিজেন কন্টেলট্রেটর ও অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে চিন্তিত সাধারন মানুষ মাঝে দিয়ে শ্বাসকষ্ট রোগির পাশে দাঁড়িয়ে এই ক্রান্তিকালে মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। এ সকল মানবিক উদ্যোগে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন হাজীপুরের মাহাতাবপুর গ্রামের মনু এলাকার আমেরিকা প্রবাসী আহমেদুর রহমান নোমান। 

সিলেটভিউ২৪ডটকম / জয়নাল / মাহি