এবারের ঈদে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ঈদযাত্রায় এবার ভোগান্তির কারণ হতে পারে ৮৯টি স্থান। এর মধ্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ৪১টি আর ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ৪৮টি স্থানে যানজটের আশঙ্কা করছে হাইওয়ে পুলিশ। তবে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে অবৈধ স্ট্যান্ড, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, তিন চাকার যান চলাচল বন্ধসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।


উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষের ঈদযাত্রায় প্রতিবারই ভোগান্তির কারণ হয় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশ। এবারও সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর থেকে রূপগঞ্জের ভুলতা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার মহাসড়ক যাত্রীদের ভোগান্তির কারণ হতে পারে।



ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশের ১৫টি স্থানে যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের অংশে কাঁচপুর সেতুর নিচে শ্যামবাজার বাসস্ট্যান্ড ও তারাব চৌরাস্তা, রূপসী বাসস্ট্যান্ড, ভুলতা ও গোলাকান্দাইল মোড়ে মহাসড়ক দখল করে লেগুনা, ইজিবাইক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যাত্রী ওঠানামা করে থাকেন।

 

যাত্রামুড়া বাজার ও তারাব থেকে ভুলতা পর্যন্ত সড়কের দুই পাশ দখল করে অলস বাস ও ট্রাক পার্কিং করা থাকে। রূপসী, বরপা, ভুলতা ও গোলাকান্দাইল মোড়গুলো রিকশা, ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও লেগুনার দখলে থাকে। এ ছাড়া ভুলতা উড়ালসড়কের নিচের মহাসড়ক দখল করে গড়ে তোলা অন্তত ১২টি অবৈধ স্ট্যান্ডে শত শত যানবাহন পার্কিং করে। উড়ালসড়কের নিচের মহাসড়কের দুই পাশ থাকে হকারের দখলে।


মহাসড়কটির ১২ কিলোমিটারজুড়েই তিন চাকার ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল করে। উল্টো পথে যান চলাচল ও যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা তো আছেই। সড়কে থাকা গর্ত ও সংস্কারকাজের কারণে ছুটির দিনেও সড়কে যান চলাচলে ধীরগতি থাকে।

 

যাত্রীলা জানান, ঈদযাত্রা শুরু হওয়ার আগেই এই ১২ কিলোমিটার সড়কে তাঁরা যানজটে ভুগছেন। ঈদের আগে সমস্যাগুলোর সমাধান করা না গেলে ঈদে ঘরমুখী মানুষ বড় ভোগান্তিতে পড়বেন।


মহাসড়কটির নারায়ণগঞ্জ অংশের দায়িত্বে থাকা ভুলতা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) আলী আশ্রাফ মোল্লা গনমাধ্যমকে জানান, ভুলতা ও গোলাকান্দাইল মোড় ইতিমধ্যে হকারমুক্ত করা হয়েছে। অবৈধ স্ট্যান্ড, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, তিন চাকার যান চলাচল বন্ধসহ যানজটের সবগুলো কারণ চিহ্নিত করে এরই মধ্যে সেগুলোর প্রতিকারে কাজ শুরু করেছি।

 

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ নাজাত