নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়লেখা:: মৌলভীবাজারে ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে এক গ্রাহকের ৮১ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা ১১টা ৫ মিনিটে পৌরসভার সেন্ট্রাল রোডস্থ পশ্চিম বাজার ডাচ বাংলা ব্যাংকে এই ঘটনা ঘটে। পুরো ঘটনাটি ব্যাংকের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। 

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী গ্রাহক তানভীর হাবিব চৌধুরী (৪৯) মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তানভীর মৌলভীবাজার পৌরসভার কাজিরগাঁও এলাকার মৃত হাবিবুর রহমান চৌধুরীর ছেলে। 


এদিকে দিন-দুপুরে ব্যাংকের ভেতর থেকে একজন গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় গ্রাহকরা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। ব্যাংকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকার পরও ব্যাংকের ভেতর থেকে কীভাবে একজন গ্রাহককে টাকা নিয়ে প্রতারক চক্র চম্পট দিল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তানভীর হাবিব চৌধুরী বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে টাকা উত্তোলনের জন্য মৌলভীবাজার পৌরসভার সেন্ট্রাল রোডস্থ পশ্চিম বাজার ডাচ বাংলা ব্যাংকে যান। এসময় তিনি ওই ব্যাংক থেকে দুই লাখ টাকা উত্তোলন করেন। টাকা উত্তোলনের সময় তার পাশে অজ্ঞাতনামা ২-৩ জন ব্যক্তি ছিলেন।  টাকা উত্তোলনের পর তিনি ব্যাংক কর্মকর্তাকে ৫’শ টাকার নোটের পরিবর্তে তাকে ১ হাজার টাকার নোট দিতে অনুরোধ জানান। এসময় তাঁর পাশে থাকা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের একজন জানায়, তার নিকট এক হাজার টাকার বান্ডিল আছে। তিনি চাইলে তারা (প্রতারক) দিতে পারবে। এক পর্যায়ে তানভীর তার উত্তোলনকৃত টাকা থেকে এক হাজার টাকার বান্ডিলটি তার সাথে থাকা ব্যাগের মধ্যে রাখনে এবং অবশিষ্ট ৫০০ টাকার দুটি বান্ডিলে ৫০ হাজার টাকা করে ১ লাখ টাকা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নিকট প্রদান করেন। টাকা নিয়ে প্রতাকরা তানভীরকে বিভিন্ন নোটের ১৯ হাজার টাকা অগোছালো অবস্থায় রাবার দিয়ে পেচিয়ে তার হাতে দেয় আর বাকি ৮১ হাজার টাকা হাতিয়ে প্রতারকরা ব্যাংক থেকে উধাও হয়ে যায়। পরে তিনি টাকা গুনে বুঝতে পারেন প্রতারকরা তাকে ১৯ হাজার টাকা দিলেও ৮১ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। তাৎক্ষনিক বিষয়টি তিনি ব্যাংকের দায়িত্বরত কর্মরতাকে অবগত করেন এবং ব্যাংকের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে প্রতারকদের শনাক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগী তানভীর হাবিব চৌধুরী জানিয়েছেন, ব্যাংকের ভেতরে প্রতারকরা তাদের হাতে টাকা তার কাছে দেওয়ার পর তিনি বেঞ্চে বসে নিস্তেজ অনুভব করেন। ওই সময় তিনি একধরনের ঘোরের মধ্যে ছিলেন। কয়েক মিনিট পর যখন স্বাভাবিক হন, তখন দেখেন প্রতারকরা উধাও হয়ে গেছে এবং টাকা গুনে দেখেন প্রতারাকরা ৮১ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।

মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে এম নজরুল (পিপিএম) বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/লাভলু