সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সুন্দরবন গ্রামে আরবি পড়তে মক্তবে যাওয়ার পথে গ্রামের এক পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৭ মার্চ বুধবার সকালে গ্রামের হামহামিয়া হাওর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার। 


ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা যায় ভুক্তভোগী কিশোরী কোরআন শিক্ষা করতে হামহামিয়া হাওরে নির্জন রাস্তা দিয়ে মক্তবে যাওয়ার পথে পাশ্ববর্তী রঙ্গাছড়া গ্রামের ইজ্জত আলীর  বখাটে ছেলে সালমান মিয়া ওই ছাত্রীর পথ আটকে দাঁড়ায় এবং একা পেয়ে জোরপূর্ব ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় ভিকটিম ছাত্রী সুরচিৎকার স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে বখাটে সালমান মেয়েটিকে শারীরিকভাবে আঘাত করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে তাহিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।



ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা জানান, আমার মেয়ে প্রতিদিনকার মতো কোরআন শিক্ষা করতে মক্তবে যাচ্ছিল। বখাটে সালমান মিয়া পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়ের পথ আটকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমার মেয়ে বড় সর্বনাশ থেকে রক্ষা পেয়েছে। আমি এর উচিত বিচার চাই। 


এদিকে থানায় অভিযোগ দায়েরের পর অভিযোগ তুলে নিতে ভয়ভীতি প্রদর্শণের মাধ্যমে ভিকটিমের পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করছেন বখাটে সালমানের পরিবার। বিষয়টিকে স্থানীয়ভাবে ধামাচাপা দিতে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল চেষ্টা করছে বলে জানা যায়। অপদিকে অভিযোগ দায়েরের দুইদিন পরও আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয় সচেতন মহল।


এব্যাপারে তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। আসামি ধরা চেষ্টা চলছে। ভিকটিমের পরিবারকে আইনানুগ সকল ধরণের সযোগিতা দেয়া হবে বলে জানান তিনি। 

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/শহীদনূর/ নাজাত