ফাইল ছবি

পাথরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া স্বচ্ছ জলরাশিতে অবগাহন, বিস্তীর্ণ চা বাগান বা ঘন সবুজ বনে হারিয়ে যাওয়া কিংবা সুউচ্চ পাহাড় থেকে নেমে আসা ফেনিল জলধারায় স্নাত হওয়া-রূপ লাবণ্যের অপরূপ সিলেট সবই যেন সাজিয়ে রেখেছে নিপুণ হাতে। নয়নাভিরাম সৌন্দর্য নিয়ে প্রতিনিয়ত পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকে সিলেট। সেই ডাক উপেক্ষা করতে পারেন না সৌন্দর্যপিপাসু পর্যটকরাও।

এবার ঈদ এসেছে গ্রীষ্মরে খরতাপ। মাঝেমধ্যে হওয়া বৃষ্টি সিলেটের সবুজ সৌন্দর্যকে আরও চমকপ্রদ করে তুলেছে।


সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, কোম্পানিগঞ্জ ও জৈন্তাপুরে রয়েছে বেশ কিছু মনোহরিণী স্থান। জল-পাথর-পাহাড়ের মিতালির বিছনকান্দি, প্রকৃতিকন্যা জাফলং, দ্বিতীয় সুন্দরবন হিসেবে খ্যাত দেশের একমাত্র সোয়াম্প ফরেস্ট রাতারগুল, মায়াবী সৌন্দর্যের মায়াবন, বিস্তীর্ণ ঝর্ণাধারার পাংথুমাই এসব রয়েছে গোয়াইনঘাটে।

জৈন্তাপুরে আছে ‘নীলনদ’ খ্যাত পান্না সবুজ জলের লালাখাল, ঐতিহাসিক মেগালিথিক পাথর ও ঐতিহ্যের স্মারক জৈন্তিয়া রাজবাড়ি।

সীমান্তবর্তী আরেক উপজেলা কানাইঘাটে রয়েছে প্রকৃতির আশ্চর্যময় সৌন্দর্যের লীলাভূমি লোভাছড়া। এখানে আছে সবুজের শ্যামলিমার আচ্ছাদন, চা বাগান, শতবর্ষী ঝুলন্ত ব্রিজ, পাথর অঞ্চল, হাতি নিয়ে চলা মাহুত, চা পাতার প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রভৃতি।

সিলেটের আরেক সীমান্তবর্তী উপজেলা কোম্পানিগঞ্জের ভোলাগঞ্জে রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ পাথর কোয়ারি। এসব সীমান্তবর্তী উপজেলা থেকে বাংলাদেশের ওপারে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সৌন্দর্যও সহজেই অনুধাবন করা যায়। সীমান্তে পাহাড়ের বুকে স্বচ্ছ ফেনিল জলরাশির ঝর্ণা, পাহাড়ে এসে মুখ লুকানো সাদা মেঘ, আকাশের সাথে পাহাড়ের মেলবন্ধন আর চোখজুড়ানো সবুজ যে কাউকে মুগ্ধতায় আচ্ছন্ন করে রাখে।

এসবের বাইরে সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র শ্রীপুর, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলাস্থ বৃহৎ হাকালুকি হাওর, সিলেট শহরতলিস্থ লাক্কাতুরা ও মালনিছড়া চা বাগান, ঘন সবুজ অরণ্যের খাদিমনগর জাতীয় উদ্যান, সিলেট নগরীতে থাকা হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহপরান (রহ.) এর মাজার, ঐতিহ্যের ক্বিনব্রিজ, আলী আমজাদের ঘড়ি, ‘সেলফি ব্রিজ’ খ্যাত নান্দ্যনিক কাজিরবাজার সেতু পর্যটকদের মন ভরিয়ে দিতে যথেষ্ট।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে/এসডি-১৫৮২