সংগীতের ভুবন ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন কণ্ঠশিল্পী ও গীতিকার মুতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসান। বৃহস্পতিবার সকালে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
 

তাঁর মৃত্যুতে সুনামগঞ্জের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সংস্কৃতিক কর্মীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পাগল হাসানের দাফন সম্পন্ন হবে।
 


সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে সবসময় গানের অনুষ্ঠান করতো বাউল শিল্পী পাগল হাসান। সেখানে তার মরদেহ পৌঁছায় একটি পিকাআপ ভ্যানে করে। 
 

তাঁর মরদেহ শিল্পকলা একাডেমিতে পৌঁছামাত্রই তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী, সুনামগঞ্জের সাংস্কৃতি ব্যাক্তিত্ব ও সুধীজনরা জড়ো হতে থাকে। পুরো শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে।
 

তাঁর দীর্ঘদিনের সহকর্মী শিল্পী, সুহৃদ ও ভক্ত অনুরাগীদের কান্না ভারি হয়ে উঠে পরিবেশ। শিল্পীর মরদেহ শেষবারের মত একনজর দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন সংস্কৃতি কর্মীরা। 
 

মরদেহ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনগন।
 

জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা আহমেদ মঞ্জুরুল হক পাবেল বলেন, সুনামগঞ্জে অনেক সংগীত মহাজনের জন্ম হয়েছে। তাদের উত্তরসূরী পাগল হাসান। পাগল হাসান লোকসাহিত্যের অসংখ্য গান উপহার দিয়েছেন। তিনি নিজে গান লিখতেন ও সুর দিতেন। তার অকাল প্রয়াণে সংগীত অঙ্গনে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
 

নাট্যকর্মী সামির পল্লব বলেন, পাগল হাসান ছিলেন আমাদের আত্মার আত্মীয়।  তার গানে অন্যরকম ভাব ছিল। বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে তার সুর ও গান পৌঁছে গিয়েছে। সে তার গানে অমর হয়ে থাকবে।
 

কণ্ঠ শিল্পী তুলিকা ঘোষ বলেন, বিশ্বাস করতে পারছি না সে আমাদের মাঝে নেই। সে আর গান গাইবে না, এটা মেনে নেওয়া কষ্টকর। আমরা শোকে স্তব্ধ।  পরপারে সে ভালো থাকুক। 
 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ শহীদনূর/ নোমান