সিলেট নগরীতে বৃষ্টিপাতের কারণে ভাঙগনের কবলে পড়েছে সাগরদীঘিরপাড়ের নির্মাণাধীন ওয়াকওয়ে সংলগ্ন সড়ক । এতে যে কোন সময় বড় ধরণের দুঘর্টনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

 


জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহ আগে টানা বৃষ্টিপাতে ঐ এলাকার মালনী ছড়া পানিতে ভরে যায়। এতে ছড়ার পানির স্রোতে এলাকার প্রধান সড়ক ধসে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। তবে গাছ না কেটে ওয়াকওয়ে তৈরী ও সড়ক ধস ঠেকাতে গার্ডওয়াল তৈরী নিয়ে অনেকটা বিপাকে পড়েছে সিটি করপোরেশেন।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বন বিভাগের অনুমোদন থাকার পরও সাগরদীঘিরপাড় সড়কের পাশের গাছ কাটতে আপত্তি জানিয়েছিলো পরিবেশ কর্মীরা। এতে বন্ধ হয়ে যায় ওয়াকওয়ের কাজ। তৈরী হয় জটিলতা। কারণ গাছ না কাটলে ছড়ার গার্ডওয়াল দেওয়া যাবে না আর অন্যদিকে অসম্পূর্ণ গার্ডওয়ালের কারণে এখন ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে সাগরদীঘিরপাড় এলাকার সড়ক।


সিসিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি ধাপে নগরীর সাগরদীঘিরপাড় এলাকায় দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সিলেট সিটি করপোরেশন। ওয়াকওয়ে নির্মাণের জন্য মালনী ছড়ারপাড়ে থাকা গাছ রক্ষা করে নকশা তৈরি করা হয়েছিল। সে অনুযায়ী অনেক গাছ অক্ষত রেখে প্রথম দফার কাজ শেষ হয়। পরে ওয়াকওয়ে ও সড়ক রক্ষার জন্য কয়েকটি গাছ কাটা জরুরি হয়ে পড়ে। তাই সিসিক কর্তৃপক্ষ গাছ কাটার অনুমতি চায় বন বিভাগের কাছে। সিসিকের আবেদনে নিয়ম অনুযায়ী গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয়।


এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সিলেটভিউকে বলেন, আমরা কেউই পরিবেশ ধ্বংসের পক্ষে নই। গাছ থাকলে পরিবেশ ভাল থাকবে আর পরিবেশ ভাল থাকলে প্রাণীকূল ভাল থাকবে সেটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু মাঝে মাঝে রাস্তাঘাট,  নদী, ছড়ার উন্নয়নের জন্য গাছ কাটতে হয়।  এবং উন্নয়নের সুফলও কিন্তু বৃহত্তর জনগোষ্ঠী ভোগ করবে। সাগরদিঘির পাড় ওয়াকওয়ে করার সময়ও আমরা ছড়া পাড়ের অনেকগুলো গাছ রক্ষা করেছি। কিন্তু যে গাছগুলো না কাটলেই নয় সেগুলো কাটার জন্য আমরা বনবিভাগ বিভাগ থেকে অনুমতি এনেছি। এবং ওয়াকওয়ের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আমরা এখানে আবারও গাছ লাগবো। কিন্তু তারপর এই কাজ সম্পন্ন করতে অনেক বাঁধা আসছে। এদিকে এখন বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

 

মেয়র আরোও বলেন, ছড়ার পানি বাড়ছে তাই গাছের জন্য ওয়াকওয়ের যেসব জায়গায় গার্ড ওয়াল করা যাচ্ছে না সেসব জায়গার সংল্গন সড়কে ধসের সঙ্কা আছে। তাই আমরা চাই এই ওয়াকওয়ের কাজ দ্রুত শেষ করতে তা না হলে এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ভাঙলে স্থানীয় এলাকবাসীসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকার মানুষকে আরও বেশি দূর্ভোগ পোহাতে হবে। আমি আশা করি এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সবাই আমাদের সহযোগীতা করবেন।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম / মাহি