সিলেটে ভ‚মি সংক্রান্ত বিরোধে ভাই-ভাতিজাদের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন এক সাবেক ইউপি সদস্য। গতকাল মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ভাই ও দুই ভাতিজাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার তাদেরকে আদালতে সোর্পদ করা হবে বলে জানিয়েছেন কানাইঘাট থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন।

 



নিহত জয়নাল আবেদীন (৫০) কানাইঘাট উপজেলার বড়চতুল ইউনিয়নের হারাতৈল মাঝবড়াই গ্রামের বাসিন্দা। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জয়নাল আবেদীনের বড় ভাই শামসুল হক (৭০) এবং শামসুল হকের ছেলে কামাল আহমদ (৩৫) ও সোহেল আহমদ (২৬)। 

 


স্থানীয় সূত্র জানায়, হারাতৈল মাঝবড়াই জামে মসজিদের উত্তর পাশের সীমানার কিছু জায়গা দখল করে রেখেছিলেন নিহত জয়নাল আবেদীনের বড় ভাই শামসুল হক ও তার ছেলেরা। এ নিয়ে জয়নাল আবেদীনসহ পাঁচ ভাই ও স্থানীয়দের সাথে বিরোধ চলছিল শামসুল হকের। গত সোমবার মসজিদের ইমাম থাকার জন্য ঘর নির্মাণ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে কথাবার্তা হয়। এসময় সাবেক ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন সীমানা নির্ধারণ করে ইমামের ঘর নির্মাণের কথা বলেন। এতে তার বড় ভাই শামসুল হক ও তার ছেলেরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। বিকেলে জয়নাল আবেদীন বাড়ি থেকে বের হলে শামসুল হক ও তার ছেলে আলমাছ, কামাল, সুহেল ও রুহুলসহ কয়েক জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জয়নাল আবেদীনকে রক্তাক্ত জখম করেন। এসময় জয়নাল আবেদীনের শোরচিৎকারে তার ভাই দুবাই প্রবাসী ছয়ফুল্লাহ ও ওমান প্রবাসী আবদুল্লাহ এগিয়ে আসলে তাদেরকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। মারামারি ঠেকাতে এসে আহত হন তাদের চাচাতো ভাই আবদুর রশিদ ও আবদুল কুদ্দুস। আশঙ্কাজনক অবস্থায় জয়নাল আবেদীন এবং ছয়ফুল্লাহ ও আবদুল্লাহকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নালকে মৃত ঘোষনা করেন। 


 কানাইঘাট থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, হত্যকান্ডের ঘটনায় নিহতের ছেলে মুসা আহমদ বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে শামসুল হক এবং তার ছেলে কামাল ও সোহেলকে গ্রেফতার করেছে। 

 

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/নাজাত