হাওর অঞ্চল নামে খ্যাত ও মুক্তিযুদ্ধের সাব সেক্টর কমান্ডার, সংবিধান প্রনেতা, জাতীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এলাকা হিসেবে বাংলাদেশে সুপরিচিত ‘শাল্লা’ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চারজন প্রার্থী।


ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ১ম ধাপে সুনামগঞ্জের শাল্লায় আগামী ৮ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলার মোট ভোটারের সংখ্যা ৯৩ হাজার ১২৭ জন। প্রত্যেক ভোটার তাদের প্রতীক নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে ভোট প্রার্থনা করছেন।



নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গনেন্দ্র চন্দ্র সরকার (আনারস মার্কা) সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এড. অবনী মোহন দাশ (ঘোড়া মার্কা), বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান এড. দিপু রঞ্জন দাশ (মোটরসাইকেল মার্কা), এস এম শামীম (দোয়াত-কলম মার্কা)।


প্রার্থীদের হলফনামা থেকে জানা যায়, ৪ প্রার্থীর মধ্যে স্থাবর সম্পদ বেশি গনেন্দ্র চন্দ্র সরকারের ও ব্যবসা থেকে আয় বেশি এসএম শামীমের। শিক্ষাগত যোগ্যতা এড. অবনী মোহন দাশ ও এড. দিপু রঞ্জন দাশ এগিয়ে।


গনেন্দ্র চন্দ্র সরকার হলফনামায় উল্লেখ করেন, সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি, পেশা হিসেবে কৃষি ও মৌসুমি ব্যবসা উল্লেখ্য। কৃষিখাত থেকে বাৎসরিক আয় ১ লক্ষ টাকা। কৃষিপণ্য ও মৌসুমি ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় ২ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা ও অন্যান্য থেকে আয় ৫০ হাজার টাকা। নগদ টাকার পরিমাণ মৌসুমি ব্যবসার মূলধন ৭ লক্ষ টাকা। স্বর্ণালঙ্কার (পূর্বমূল্য) ৫০ হাজার টাকা।


ইলেকট্রিক সামগ্রীর মূল্য ২০ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ৩০ হাজার টাকা। গনেন্দ্রর স্থাবর সম্পদ পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত কৃষিজমি ২২.০৬ (একর) ও পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত একটি বাড়ি ০.১৯ (একর) ও ক্রয় সূত্রে (০.০৬ একর) যার মূল্য ১৫ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে কৃষি জমি ৬.৬৬ (একর) যার মূল্য ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা এবং নির্ভরশীলদের নামে কৃষি জমি ৫.৪১ (একর)। কৃষি ব্যাংক থেকে কৃষি ঋণ নেওয়া ২ লক্ষ টাকা এবং সোনালী ব্যাংক থেকে কৃষি ঋণ নেওয়া ১লক্ষ ৮০ হাজার।


অ্যাডভোকেট অবনী মোহন দাশের পেশা ওকালতি। আইনী পেশায় বাৎসরিক আয় ৫০ হাজার টাকা। মোটরসাইকেল ১টি মূল্য ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা, ১টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা যার মূল্য ২লক্ষ টাকা। স্বর্ণ ৪ ভরি যার মূল্য ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। ১টি টিভির মূল্য ১৫ হাজার টাকা ও ২টি মোবাইল ফোন যার মূল্য ৩২ হাজার টাকা। ২ সেট সোফা ও ১টি খাটের মূল্য ১ লক্ষ টাকা। অবনীর স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে উল্লেখ্য, কৃষি জমি পৈতৃক সূত্রে ৩.৪১ (একর) ও ক্রয়সূত্রে ৭.০০ একর যার মূল্য ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা। বাজার ভিট ০.০১ (একর) অর্জনকালীন সময়ে মূল্য ৬০ হাজার টাকা। ২টি আবাসিক আধাপাকা ঘর মূল্য ৪ লক্ষ টাকা। পৈতৃক সূত্রে বাড়ি ০.০৫ (একর) ও ক্রয়সূত্রে ০.১১ (একর) দুটি বাড়িসহ মূল্য ৯০ হাজার টাকা। অবনীর স্ত্রীর বার্ষিক বেতন বাবদ প্রাপ্ত ২ লক্ষ ৭০ হাজার ৬শ টাকা। স্বর্ণলঙ্কার ৮ ভরি মূল্য ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। ১ টি টিভি, মোবাইল ফোন ও ওয়ারড্রপের মূল্য ৪৭ হাজার টাকা।


এডভোকেট দিপু রঞ্জন দাশের পেশা আইনজীবী। কৃষি, ব্যবসা, পেশা, চাকুরী ও অন্যান্য সব মিলিয়ে বাৎসরিক আয় ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। নগদ টাকার পরিমাণ দেখিয়েছেন ৪০ হাজার টাকা। ১ টি মোটরসাইকেলের মূল্য ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। মোবাইল, টিভি ও ফ্রিজের মূল্য ৭০ হাজার টাকা। ২টি খাট, আলমারি ও ১ সেট সোফার মূল্য ৭০ হাজার টাকার। স্থাবর সম্পদ কৃষি জমি (লায়েক পতিত) ৫.০০ (একর) যার মূল্য ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। যৌথ মালিকানা ১ বাড়ি যাহা ৪ অংশের ১ অংশ। দিপুর স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ২ লক্ষ টাকা। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংক পিএলসি শাল্লা শাখা থেকে ঋণের পরিমাণ ১ লক্ষ ৮০ হাজার ও ৭৫ হাজার টাকা।


৮ম শ্রেণী পাস ও ব্যবসায়ী এসএম শামীম হলফনামায় উল্লেখ করেন, ব্যবসা থেকে তার বাৎসরিক আয় ৩ লক্ষ ৩০ হাজার ৮৩০ টাকা। নগদ টাকার পরিমাণ ৩ লক্ষ ২২ হাজার টাকা। বৈবাহিক সূত্রে উপহারসরূপ প্রাপ্ত ১.৫ ভরি স্বর্ণলঙ্কার যার মূল্য ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। ফ্রীজ, টিভি, ল্যাপটপ, কম্পিউটার ইত্যাদির মূল্য ৮০ হাজার টাকা এবং আসবাবপত্র খাট, সোফাসেট, চেয়ার টেবিল ইত্যাদির মূল্য ১ লক্ষ টাকা। বিশেষ করে শামীমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সুনামগঞ্জ, বিচারাধীন একটি মামলা রয়েছে যার নম্বর জি,আর ১৭/২০২৩ ইং শাল্লা।

 

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/সন্দীপন/ নাজাত