সুনামগঞ্জের শাল্লায় মাদকাসক্ত শিক্ষক কর্তৃক ডাক্তার লাঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

 


সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে গোবিন্দ চন্দ্র সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক বিপুল চন্দ্র দাস তার বাচ্চাকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. নাসির উদ্দিনের চেম্বারে চিকিৎসা চলাকালীন সময় এই ঘটনা ঘটে।

 

এব্যপারে শিক্ষক বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, আমার বাচ্চার চিকিৎসা জনিত বিষয় নিয়ে ডাক্তার নাসির উদ্দিনের সাথে কিছু তর্কবিতর্ক হয়। বিষয়টা এখন বিচারাধীন রয়েছে।
 

জানাযায়, শিক্ষক বিপুল চন্দ্র দাস উনার বাচ্চাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ডাক্তার নাসির উদ্দিনের চেম্বারে আসেন। ডাক্তার নাসির উদ্দিন বাচ্চাকে দেখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে বাচ্চার বাবা শিক্ষক বিপুল প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে ডাক্তারের উপর চড়াও হোন। এসময় তার সাথে স্ত্রী ও আরেকজন লোক ছিল। উচ্চস্বরের শব্দ শুনে মেডিক্যাল স্টাফ উপস্থিত হলে পরিবেশ শিথিল হয়। পরবর্তীতে খবর পেয়ে এসিল্যান্ড ও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক জানান, বিপুল দাস এর পূর্বে আরো শিক্ষক ও মানুষের সাথে বাজে আচরণ করেছেন। আজ আবার ডাক্তারের সাথে এগুলো আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়। শিক্ষক বিপুল কন্টিনিউ এডিক্টেড থাকে বলে জানান তিনি।

 

এ বিষয়ে ডাক্তার নাসির উদ্দিন বলেন, বাচ্চাকে ট্রিটমেন্ট দেওয়ার সময় অস্বাভাবিক আচরন করেন মাদকাসক্ত শিক্ষক বিপুল চন্দ্র দাস। উনার সাথে বাচ্চার মা ও অন্য একজন লোক শিক্ষককে বুঝানোর চেষ্টা করলেও সে ক্ষান্ত হয় নি। পরে এসিল্যান্ড আলাউদ্দিন ভাই ও পুলিশ আসেন। বিষয়টি আমি সিভিল সার্জন স্যারকে অবগত করছি দেখা যাক কি হয়। তবে ঐ শিক্ষকের ডোপ টেস্ট করানোর জন্য বলা হয়েছে।

 

শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও এসিল্যান্ড মো. আলাউদ্দিন বলেন, শিক্ষকের ডোপ টেস্ট করানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহন করা হবে।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ নোমান