রীতিমতো মৃত্যুকুপে পরিণত হয়েছে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক। একের পর এক প্রাণ যাচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনায়। সর্বশেষ গত  বুধবার (১ মে) দিবাগত রাতে মাধবপুরের সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের হরিতলা এলাকায় ট্রাক ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
 

এরআগে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের বাহুবলের তগলী নামক স্থানে সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মাছবোঝাই একটি পিকআপভ্যানের সংঘর্ষে চালক ও হেলপার নিহত হন।
 


পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। গত এক বছরে এই সড়কে ছোটবড় অসংখ্য সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত শতাধিক মানুষ  নিহত ও আহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় বহু লোক পঙ্গুত্ব বরণ করে দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে। সচেতনতামূলক সভা সমাবেশ এবং প্রচারপত্র বিলি করেও তেমন কাজে আসছে না।
 

সম্প্রতি সারাদেশে ১১৪টি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিবেদনে। দুর্ঘটনার ধরণ ও মাত্রা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ৫১টিকে অতি দুর্ঘটনাপ্রবণ ও ৬৩টিকে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। ওই তালিকায় হবিগঞ্জের মাধবপুরকে অতি দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
 

সড়ক ও জনপথ বিভাগ মাধবপুর থেকে অলিপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার বিস্তৃত মহাসড়কে রতনপুর আল আমিন ফুড ফেয়ার নামক হোটেলের একটু দক্ষিণে একটি বিপজ্জনক মোড়সহ অন্তত ৬টি দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করেছে।
 

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হবিগঞ্জ অফিসের সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রকৌশলী হাফিজুল ইসলাম হাফিজ দুর্ঘটনা বৃদ্ধির বিষয়টি জানিয়ে বলেন, মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা, ব্যাটারি চালিত টমটম চলাচল বন্ধ করা গেলে এবং মহাসড়ক প্রশস্ত করা হলে দুর্ঘটনা প্রবণতা বহুলাংশে হ্রাস পাবে।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম / মাহি /এসডি-১৯২২