ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় ৮ মে সাধারণ নির্বাচন। এখানে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। প্রতীক বরাদ্ধ পেয়েই প্রার্থীরা শুরু করেন প্রচারণা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চষে বেড়াচ্ছেন উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষনের জন্য প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
 

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, হল্যান্ড প্রবাসী বীরমুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক (আনারস), সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কিশোর রায় চৌধুরী মনি (কাপ-পিরিচ), বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিংকু রঞ্জন দাস (মটরসাইকেল), আমেরিকা প্রবাসী কবির উদ্দিন (দোয়াত-কলম) ও তার ভাই আমেরিকা প্রবাসী মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন (কড়াই) এবং পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী হোসেন (ঘোড়া) প্রার্থী হয়েছেন।
 


রমজান মাসের অনেক আগে থেকে জামায়াতে ইসলামীর জেলা নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে পুরো উপজেলা চষে বেড়িয়ে মাঠ গরম করে তুলেছিলেন। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত মতে হঠাৎ করেই তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান। এখানে বিএনপি দলীয় কোনো প্রার্থী নেই। নাসির উদ্দিন তার ভাই কবির উদ্দিনের ডামি প্রার্থী। অপর চার প্রার্থী সকলেই আওয়ামী লীগ পরিবারের হওয়ায় উপজেলা আওয়ামী পরিবার চার ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বেশির ভাগ নেতাকর্মী দিনে রিংকু রঞ্জন দাস-এর মটরসাইকেলের সাথে থাকলেও রাতে কিশোর রায় চৌধুরী মনি (কাপ-পিরিচ) ও এম এ মোঈদ ফারুক (আনারস)-এর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা যায়। এখানে কোনো প্রার্থীর পক্ষে দলীয় কোনো সমর্থন নেই। তবে, রিংকু রঞ্জন দাস-এর সমর্থকরা তাকে সাবেক মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এমপি সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে প্রচার করলেও জনমনে এর কোনো প্রভাব পড়ছে না। কাপ-পিরিচ প্রতীকে কিশোর রায় চৌধুরী মনি ও আনারস প্রতীকে এম এ মোঈদ ফারুককে ভোটাররা আলোচনার শীর্ষে রাখছেন। চা বাগান অধ্যুষিত এ উপজেলায় দ্বিমুখী লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
 

ভাইস চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ জুড়ী উপজেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুস শহীদ (টিয়া পাখি), উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শেখরুল ইসলাম (বই), উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমদ (চশমা), উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল আহমদ (তালা), ট্রাভেল্স ব্যবসায়ী শামীম আহমেদ (মাইক), মোহাম্মদ মোয়াজ জাকারিয়া শিবলু (বাল্ব) ও রুবেল আহমদ (টিউবওয়েল) প্রার্থী হয়েছেন। এ পদেও দ্বিমুখী লড়াইয়ের আভাস দৃশ্যমান। টিয়া পাখি প্রতীকে মাওলানা আব্দুস শহীদ ও চশমা প্রতীকে জুয়েল আহমদ মুল লড়াইয়ে রয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত শেখরুল ইসলাম, ইকবাল আহমদ ও শামীম আহমেদ এর মধ্য থেকে যে কেউ মূল লড়াইয়ে উঠে আসতে পারেন।
 

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রনজিতা শর্ম্মা (প্রজাপতি), সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আজিবুন খানম (কলস) ও উপজেলা পরিষদ সদস্য শিল্পী বেগম (ফুটবল) প্রার্থী হয়েছেন। এ পদে শিল্পী বেগমের জয়ের সম্ভাবনা সর্বাধিক বলে লোক মুখে শোনা যাচ্ছে।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/মঞ্জুরে/এসডি-১৯৪০