বামে খুন হওয়া অমিত দাস শিবু ও ডানে ‘খুনি’ ফয়সল আহমদ।

সিলেট থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্র দৈনিক উত্তরপূর্ব’র কম্পিউটার ইনচার্জ অমিত দাস শিবুর (৩৬) হত্যাকাণ্ডের রহস্য এখনো উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ বলছে- এ নিয়ে তাদের কাজ চলমান রয়েছে।

 


 


এদিকে, এ ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ফয়সল আহমদকে (৩২) ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করলে গত বৃহস্পতিবার (২ মে) অনুষ্ঠিত শুনানিতে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ বিচারক।

 

 

 

গত ২৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার দিবাগত) রাত আড়াইটার দিকে সিলেট মহানগরের এয়ারপোর্ট থানাধীন শাহী ঈদগাহ এলাকার হাজারিবাগ দলদলি চা-বাগানসংলগ্ন মাঠ থেকে অমিত দাস শিবুর লাশ স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন বিকেলে ময়না তদন্ত শেষে মহানগরের চালিবন্দর মহাশশ্মানে তাঁর মরদেহ দাহ করা হয়।

 

 

 


অমিত সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার এলেংজুড়ি গ্রামের মৃত গৌর চাঁদ দাসের ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। তিনি পরিবার নিয়ে মহানগরের কানিশাইল এলাকায় বসবাস করতেন।

 

 


ঘটনার পরদিন শুক্রবার দুপুরে অমিত দাসের বড় ভাই অনুকূল দাস বাদী হয়ে সিলেট এয়ারপোর্ট থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে শাহী ঈদগাহ এলাকা থেকে ফয়সল আহমদ নামে একজনকে গ্রেফতার করে এয়ারপোর্ট থানাপুলিশ। তিনি সিলেটের এয়ারপোর্ট থানার শাহী ঈদগাহ এলাকার হাজারীবাগের ৪৮ নং বাসার মৃত আব্দুল মুকিতের ছেলে।

 

 

 


পুলিশ জানিয়েছে, ফয়সল একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ অনেক ৪টি মামলা রয়েছে সিলেট কোতোয়ালি এবং এয়ারপোর্ট থানায়।

 

 

 


ফয়ছলকে গ্রেফতারের পর পুলিশ জানায়, প্রাথমিক তদন্ত ও গ্রেফতারকৃতের কাছ থেকে জানা গেছে- তার সহযোগী আরো কয়েকজন ঘটনার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে অমিতের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি মারে এবং আসামিদের একজন অমিতের ব্যবহৃত হেলমেট দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করে। মারপিটের এক পর্যায়ে অমিত অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আসামিরা তার মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

 

 

 


তবে ঘটনার পর পুলিশ সাংবাদিকদের জানায়- অমিতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

 

 

 


এদিকে, ফয়ছলকে গ্রেফতারের পুলিশের একটি সূত্র সিলেটভিউ-কে জানিয়েছে- তদন্তে জানা গেছে, অমিত হত্যাকাণ্ডে ৮ জন হত্যাকারী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে একজন নারীও ছিলেন।

 

 

 

শনিবার (৪ মে) বিকালে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ পিপিএম সিলেটভিউ-কে বলেন- গ্রেফতারকৃত ফয়সলকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। আশা করছি- তার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলবে। আর বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ এবং হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

 

 

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডালিম