ছবি : পল্লব ভট্টাচার্য্য

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস সত্যি করে সিলেটে শনিবার দিবাগত রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে ছিলো বজ্রগর্জন, বজ্রপাত ও ঝড়োহাওয়ার সঙ্গে প্রবল ঝড়।

 


 


সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন রবিবার (৫ মে) সকালে জানিয়েছেন- শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। 

 

 


আজ রবিবার সকাল থেকেও সিলেটের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। এ রিপোর্ট লেখা (সকাল সাড়ে ১০টা) পর্যন্ত সিলেটে সূর্যের দেখা মেলেনি। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে- রবিবারও সিলেটে হবে বৃষ্টি।

 

 


এদিকে, সিলেট পানি উন্নয়ন রোর্ড সূত্র জানিয়েছে- প্রতি ২/৩ বছর পর পর বড় বন্যার আশঙ্কা করা হয়। সেই হিসাবে এ বছর বর্ষায় সিলেটে বড় বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

 

 


সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গ্রীষ্মকালে সিলেটে সুরমা নদী কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার। আর বর্ষা মৌসুমে বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ৭৫ মিটার। অথচ এই মৌসুমে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে (শুক্রবার) পানির স্তর। যেটি এই মৌসুমে সাধারণত হওয়ার কথা নয়। 

 

 

 


তবে শনিবার (৪ মে) পানির স্তর ১০ দশমিক ৩ সেন্টিমিটারে নেমে আসে। একইভাবে কুশিয়ারা নদীর পানিও উজানের ঢলে বাড়লেও এখন কমতে শুরু করেছে। তবে শনিবার রাতভর বৃষ্টিপাত হওয়ায় সিলেটের বিভিন্ন ভাটি অঞ্চলে বেড়েছে পানি।

 

 

 


পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে- বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে সিলেটে আগাম বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। মূলতঃ সিলেটে বৃষ্টির কারণে আগাম বন্যা হয় না, বাংলাদেশের উজানে ভারতের মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টি হলে আগাম বন্যা হয়।

 

 

 


এর আগে ২০২২ সালে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছিলো সিলেট বিভাগ। সেই সময় বন্যায় সিলেট বিভাগের ৭২ শতাংশ এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়। ওই বন্যার সময় বিভাগজুড়ে ৮২ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছিল। কেবল সিলেট জেলাতেই মারা যান ৫১ জন। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিপুল সংখ্যক বাড়িঘর ও গবাদিপশুর। ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় সকল সড়ক।

 

 

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডালিম