(প্রতীকী ছবি)

অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিসি) প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। সিলেটেও রবিবার (৫ মে) সকাল থেকে বিভিন্ন উপজেলার প্রায় অর্ধশত কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মবিরতি পালন করছেন বলে জানা গেছে।

 


 


তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র সিলেটভিউ-কে জানিয়েছে- কর্মবিরতি পালন করা কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা খুবই অল্প। সিলেট জেলায় পবিসি’র ৭০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় অর্ধশত কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ না করায় বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি।

 

 


জানা গেছে, রবিবার বেলা ১১টার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আলমপুরস্থ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রায় অর্ধশত কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যানার ও প্লে-কার্ড নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন। পরে দুপুর ১টার দিকে তারা সেখান থেকে চলে যান।

 

 


পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সিলেট-১ এর একটি দায়িত্বশীল সূত্র রবিবার বিকালে সিলেটভিউ-কে জানায়- এই স্বল্পসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীর কর্মবিরতি পালনে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়েনি। বরং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সিলেট-১ এর প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত প্রায় আড়াই শ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে জেনারেল ম্যানেজার মো. আক্তারুজ্জামান লস্কর শনিবার রাতে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন এবং শনিবার দিবাগত রাতে ঝড়ের কারণে বিভিন্ন স্থানে হওয়া সমস্যা নিরসনে তারা রবিবার দিনভর কাজ করেছেন। তাই সিলেটে কার্যতঃ কর্মকর্তা-কর্মচারীর কর্মবিরতি পালন হচ্ছে- সেটা বলা যাবে না। ফলে সিলেটজুড়ে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা কোনো ভোগান্তি পোহাচ্ছেন না, স্বাভাবিক রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।

 

 

 

এদিকে আন্দোলকারীদের অভিযোগ- বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)-র দ্বৈতনীতির কারণে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সিলেটসহ সারা দেশের পবিসির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত কর্মীরা একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবি, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি প্রদানসহ নিয়মতান্ত্রিকভাবেই তাদের দাবি দাওয়া বাস্তবায়নে চেষ্টা করে আসছেন। 

 

 

 

কিন্তু সমিতির নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকা আরইবি তাদের দাবি না মেনে বরং উল্টো প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ভোলা জেলা পবিসের ২ জন সহকারী মহাব্যবস্থাপককে (এজিএম) সাময়িক বরখাস্ত, ২ জন এজিএমকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে অন্য পিবিএসে বদলি এবং সিরাজগঞ্জ পবিস-২ এর ২ জন এজিএমকে বোর্ডে সংযুক্ত করে। এতে পবিসের প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে সারা দেশে কর্মবিরতির মাধ্যমে আন্দোলনে নেমেছেন।  

 

 

 


বৈষম্যগুলো দূর করে আরইবি এবং পবিস একই সার্ভিস কোড পরিচালনা, ৫ শতাংশ প্রণোদনা জুলাই-২৩ থেকে কার্যকর, ৪০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিল ভাতা, ২ দিন সাপ্তাহিক ছুটি, নির্ধারিত কর্মঘণ্টা, অতিরিক্ত কাজের জন্য ওভারটাইম বা ডিষ্টারবেন্স এলাউন্স, চিকিৎসা ভাতা চান আন্দোলনকারীরা।

 

 

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডালিম