সুনামগঞ্জে সরকারিভাবে বোরো ধান ও চাল সংগ্রহের উদ্বোধন হয়েছে।
 

মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ভার্চুয়ালি ধান সংগ্রহ কার্যক্রম  সারাদেশে একযোগে উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ধান সংগ্রহ কার্যক্রমে মধ্যসত্বভোগীদেে পস্রয় না দিতে সংশ্লিষ্টদের কঠোর নির্দেশনা দিয়ে এসময় মন্ত্রী বলেন, এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এবছর কৃষকরা ধানের সন্তোষজনক মূল্য পাচ্ছেন। তাই ধান বিক্রিতে কৃষকদের আগ্রহ বেশি থাকবে।
 


ধানের উৎপাদনের কথা চিন্তা করে সরকার ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

মন্ত্রী বলেন, কৃষকরা গোদামে ধান নিয়ে আসলে কৃষকরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেটি নজর রাখতে হবে। কোনোভাবে মধ্যসত্বভোগীদের পস্রয় দেয়া যাবে না। ধানের আদ্রতা পরীক্ষা করতে প্রয়োজনে কৃষি অফিসাররা কৃষকদের বাড়িতে যাবেন। আমরা চাই জুনের আগেই মোট লক্ষ্যমাত্রার ৭০ ভাগ অর্জন করতে। দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে সদর উপজেলা গোদামে সরাসরি  কৃষকের কাছ থেকে ১২৮০ টাকা দলে ধান ক্রয় করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী।
 

এসময় অন্যান্যের মধ্যে জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম ভুঞা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী মান্নান, সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিএম মুশফিকুর রহমান, খাদ্য পরিদর্শক আব্দুল আহাদ, ব্যবসায়ি জিয়াউল হক, হাজী আবুল কালামসহ সংশ্লিষ্টরা।

প্রথম দিন খাদ্যগোদামে ধান বিক্রি করেন সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হেকিম ও আব্দুল হাই নামের দুইজন কৃষক। প্রতি কৃষক ৩টন করে গোদামে ধান বিক্রি করেন। ন্যায্য দামে ধান বিক্রি করতে পেরে খুশি কৃষকরা। সরকারের এই নির্ধারিত মূল্যে কৃষকরা ধান বিক্রি করলে লাভবান হবেন জানিয়েছেন কৃষকরা।
এবার সুনামগঞ্জে ২৯ হাজার ৮১১ মেট্রিকটন ও সিদ্ধ ও আতপ  মিলে ১৯ হাজার মেট্টকটন চাল সংগ্রহ করবে সরকার।

৭ মে থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে এই শিক্ষা কাযক্রম।


ধান সংগ্রহ কার্যক্রম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, কৃষি এপ্সের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়ে কৃষকরা গোদামে এসে নির্বিঘ্নে ধান বিক্রি করতে পারবেন। ধান ক্রয় কার্যক্রম কৃষকদের অবগত করতে সর্বত্রই মাইকিং করা হচ্ছে। আমরা চাই দ্রুত সময়ে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে আন্তরিক থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।


 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/শহীদনুর/এসডি-২০১৭