আশফাক আহমদ, আবু জাহির, নুনু মিয়া, মিল্লাত চৌ, হাবিবুর রহমান, মনসুর আহমদ, শামীমা বেগম ও নাজিরা শিলা এবার প্রার্থী হননি।

রাত পুহালেই সিলেটের চার উপজেলায় ভোট। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের এই ভোট উৎসবে মাতবেন ভোটাররা। এরমধ্যে চার উপজেলা মিলিয়ে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন আট নতুন মুখ।

 


বর্তমান চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যানরা প্রার্থী না হওয়ায় জনপ্রতিনিধি হিসেবে নতুন মুখের অপেক্ষায় আছেন ভোটাররা।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুরু থেকে সিলেটের চার উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন প্রার্থীরা। ভোটের  আগের দিন গত মঙ্গলবার পর্যন্ত কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশের কারণে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বেশি হওয়ার সম্ভাবনার আশা ব্যক্ত করেছেন  প্রার্থীরা।

 

বুধবার (৮ মে) ভোট উৎসবে অংশ নিচ্ছেন সিলেটের সদর, দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভোটাররা।

 

সিলেট সদর :
সিলেট শহরতলীর এই উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশফাক আহমদ গত নির্বাচনের সময় প্রার্থী না হওয়ার ঘোষানা দিয়েছিলেন। ঘোষনা অনুযায়ী এবছর তিনি প্রার্থী হননি। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫ জনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। বাকি দুইজন স্বতন্ত্র। এছাড়া বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মিল্লাত আহমদ চৌধুরী এবার প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে। আর বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা বেগম এবার প্রার্থী হননি।

 

দক্ষিণ সুরমা :
এই উপজেলায় প্রার্থী হননি বর্তমান চেয়ার‌ম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আবু জাহিদ। চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থীর সবাই ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিতে যুক্ত। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যানের দুটি পদে বর্তমান জনপ্রতিনিধিরাও ভোটযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন।

 

বিশ্বনাথ :
নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা এসএম নুনু মিয়া অংশ নেননি। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী হয়েছেন। বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মাওনালা হাবিবুর রহমান এবার প্রার্থী না হওয়ায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নতুন মুখ পেতে যাচ্ছে উপজেলাবাসী। এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী রয়েছেন।

 

গোলাপগঞ্জ :
বুধবার অনুষ্ঠিতব্য সিলেটের চার উপজেলার মধ্যে একমাত্র গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম প্রার্থী হয়েছেন। বড় ভাই বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। তার সাথে প্রার্থী হয়েছেন একই দলের নেতা শাহিদুর রাহমান চৌধুরী জাবেদ ও আবু সুফিয়ান উজ্জ্বল। নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভবনা দেখছেন ভোটাররা। এ উপজেলায় বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মনসুর আহমদ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজিরা বেগম শিলা এবার প্রার্থী হননি। ফলে এ দুই পদে নতুন মুখ পেতে যাচ্ছেন গোলাপগঞ্জবাসী।

 

সিলেটের ৪টি উপজেলায় মোট কেন্দ্র রয়েছে ৩০২ টি আর ভোটার রয়েছেন ৮ লাখ ১৪ হাজার ৫২ জন। এই চার উপজেলায় মোট ৫৮ জন প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী রয়েছেন।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম / মাহি