সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের খলাগ্রাম শেরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র। ছবি : শাহীন আহমদ

সিলেট বিভাগের ১১টি উপজেলায় আজ ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ১১টি উপজেলা হচ্ছে- সিলেট জেলার সদর, দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ ও গোলাপগঞ্জ, সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা, মৌলভীবাজারের জুড়ি, কুলাউড়া ও বড়লেখা এবং হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং।

 


 

ভোট গ্রহণ চলবে টানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সকাল সোয়া ৮টার দিকে দেখা গেছে- সিলেট সদর ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার কিছু কেন্দ্রের বুথগুলোতে সকালেই ছিলো ভোটারদের ভিড়।

 

 

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপ এটি। ৪ ধাপে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

 


সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য মঙ্গলবার (৭ মে) সন্ধ্যার মধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বরতরা। মঙ্গলবার বেলা ১১টা ভোট কেন্দ্রগুলোতে ইভিএম, ব্যালট পেপার ও বাক্সসহ নির্বাচনি সরঞ্জামাদি পাঠানো শুরু হয়। সন্ধ্যার মধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে গিয়ে পৌঁছে যায় এসব সরঞ্জাম। 

 

 

সিলেট বিভাগের চারটি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা আট লাখ ১৪ হাজার ৫২ এবং ভোটকেন্দ্র ৩০২টি। এর মধ্যে ২২টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এর মাধ্যমে এবং বাকিগুলোতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

 


সিলেট সদর উপজেলার সোনাতলা মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রের একটি বুথে সকালেই ভোটারদের লম্বা সারি। ছবি : পল্লব ভট্টাচার্য্য

 

 


সিলেট জেলার ৪ উপজেলায় প্রার্থী যারা : 
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সিলেট জেলার সদর, দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ  ও গোলাপগঞ্জ উপজেলায় তিনটি পদে মোট ৫৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন লড়ছেন। 

 

 


সদর উপজেলা :
সিলেট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লড়ছেন। 


চেয়ারম্যান : শ্রমিক লীগ সিলেট জেলা সভাপতি মো. এজাজুল হক (মোটরসাইকেল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আহাদ মিয়া (দোয়াত-কলম), আওয়ামী লীগ নেতা মো. সুজাত আলী রফিক (কাপ-পিরিচ), আওয়ামী লীগ নেতা মো. সামসুল ইসলাম (আনারস), আওয়ামী লীগ নেতা মিল্লাত আহমদ চৌধুরী (ঘোড়া) ও স্বতন্ত্র ডা. মো. খলিলুর রহমান (টেলিফোন)।


ভাইস চেয়ারম্যান : বিএনপি নেতা নিজাম আহমদ (টিউবওয়েল), আওয়ামী লীগ নেতা বিলাশ বোনার্জী (বৈদ্যুতিক বাল্ব), স্বতন্ত্র মো. সাইফুল ইসলাম (উড়োজাহাজ), আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম আহমেদ (মাইক), আওয়ামী লীগ নেতা মো. জাকির হুসাইন (চশমা), স্বতন্ত্র মো. ওলিউর রহমান (টিয়া পখি), বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম (তালা) ও আওয়ামী লীগ নেতা রথীন্দ্র লাল দাস (বই)।
 

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান : বিএনপি নেত্রী মোছা. দিলরুবা বেগম (পদ্ম ফুল) ও আওয়ামী লীগ নেত্রী মোছা. হাছিনা আক্তার (ফুটবল)।  

 

 


দক্ষিণ সুরমা :
এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৫ জন। তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামীম আহমদ (মোটরসাইকেল),  উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বদরুল ইসলাম (টেলিফোন), উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. মইনুল ইসলাম (আনারস), যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জুয়েল আহমদ (ঘোড়া) ও আঞ্চালিক নাটকের অভিনেতা মো. সাহেদ মোশারফ (কাপ পিরিচ)।  

ভাইস চেয়ারম্যান পদেও ৫ জন।  তারা হলেন- উপজেলা আল-ইসলাহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান (মাইক), উপজেলা আল-ইসলাহ নেতা ফয়েজ আহমদ (তালা), স্বতন্ত্র আলী আছগর খাঁন শামীম (চশমা), ছাত্রলীগ নেতা মো. আব্দুর রহমান (উড়োজাহাজ), উপজেলা যুবলীগ নেতা নন্দন চন্দ্র পাল (টিউবওয়েল)। 

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন। তারা হলেন- বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আইরিন রহমান কলি (পদ্ম ফুল), উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোছা. হালিমা বেগম (কলস) ও জাগ্রত নারী উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মোছা. ফাহিমা বেগাম (ফুটবল)। 

 

 


বিশ্বনাথ উপজেলা :
এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন লড়াই করছেন।

চেয়ারম্যান :  যুক্তরাজ্যের ডরসেট আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবাসী আব্দুল রোশন চেরাগ আলী (ঘোড়া), উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি যুক্তরাজ্য প্রবাসী মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী (কাপ পিরিচ), উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক যুক্তরাজ্য প্রবাসী গৌছ খান (কই মাছ), উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী আকদ্দুছ আলী (হেলিকাপ্টার), যুক্তরাজ্য বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও বিশ্বনাথ স্পোটর্স ডেভোলাপমেন্ট ট্রাস্ট ইউকের যুগ্ম সম্পাদক যুক্তরাজ্য প্রবাসী মো. সেবুল মিয়া (দোয়াত-কলম), যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও যুবলীগের সহসভাপতি প্রবাসী শমসাদুর রহমান রাহিন (শালিক), যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ এস. আলী এনামুল হক চৌধুরী (মোটর সাইকেল), জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমেদ (আনারস), যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিএনপি নেতা সফিক উদ্দিন (উট) এবং বিশ্বনাথ পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আলতাব হোসেন (টেলিফোন)।  
 

ভাইস চেয়ারম্যান : উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মো. সিরাজ মিয়া (টিউবওয়েল), উপজেলা যুবলীগ নেতা ও ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মুহিবুর রহমান সুইট (মাইক), উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পার্থ সারথি দাশ পাপ্পু (টিয়া পাখি), উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কাওছার খান (তালা), উপজেলা আঞ্জুমানে আল-ইসলাহ’র সদস্য ইসলাম উদ্দিন (বই), খাজাঞ্চী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রব (চশমা)। 

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান : বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোছা. জুলিয়া বেগম (ফুটবল), আওয়ামী লীগ নেত্রী ও বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার মোছা. করিমা বেগম (কলস), উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বেগম স্বপ্না শাহীন (প্রজাপতি)।

 


গোলাপগঞ্জ উপজেলা :
এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।


চেয়ারম্যান : বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম (দোয়াত-কলম),  সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহিদুর রহমান চৌধুরী জাবেদ (ঘোড়া) ও ব্রাজিল যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক আবু সুফিয়ান উজ্জ্বল (আনারস)।  


ভাইস চেয়ারম্যান : উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ আহমদ (তালা), সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ আজম (টিয়া পাখি), মো. লবিবুর রহমান (টিউবওয়েল), আকমল হোসেন (বই) ও মো. নাবেদ হোসেন (চশমা)।  

 
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান : ভাদেশ্বর ইউনিয়নের ৪.৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মহিলা সদস্য সেলিনা আক্তার শিলা (ফুটবল) ও মোছা. নার্গিস পারভিন (কলস)।


এদিকে, সিলেট জেলার ৪ উপজেলার মধ্যে ৩টিতে বর্তমান চেয়ারম্যানরা প্রার্থী হননি। তারা হলেন সিলেট সদর উপজেলার আশফাক আহমদ,  দক্ষিণ সুরমার আবু জাহিদ ও বিশ্বনাথের এসএম নুনু মিয়া।

 


নিরাপত্তাব্যবস্থা :
চার উপজেলার ৩০২টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৭৪টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ধরে নিরাপত্তা পরিকল্পনা করে সিলেট জেলা ও মহানগর পুলিশ। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ছয় হাজারের বেশি পুলিশ ও আসনার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।


ভোটে আড়াই হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য, সাড়ে তিন হাজারের বেশি আনসার সদস্য ও চারজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ও ৩৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন। এর বাইরে বিজিবি ও এপিবিএন সদস্যরাও মাঠে রয়েছেন।

 


সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন দুই উপজেলায় ১২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে সদরে ৬২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ও ১৭টি সাধারণ কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়। দক্ষিণ ‍সুরমা উপজেলায় ৬৩টি কেন্দ্রের মধ্যে নির্ধারণ করা হয় ২৪টি ভোটকেন্দ্র সাধারণ ও ৩৯টি ঝুঁকিপূর্ণ।


এ ছাড়া সিলেট জেলা পুলিশের আওতাধীন দুই উপজেলায় ১৭৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯০টি ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়েছে। এর মধ্যে গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ১০৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪০টি সাধারণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ ৬৩টি। বিশ্বনাথ উপজেলায় ৭৪টি কেন্দ্রের মধ্যে সাধারণ ৪৭টি ও ঝুঁকিপূর্ণ ২৭টি।


আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, জেলা পুলিশের আওতাধীন গোলাপগঞ্জ ও বিশ্বনাথ উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে একজন উপ-পরিদর্শকের (এসআই) নেতৃত্বে পাঁচজন ও সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে চারজন করে পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের সঙ্গে প্রতি কেন্দ্রে ১২ জন আনসার সদস্য ছাড়াও বিজিবি সদস্যরা রয়েছেন।

 


সিলেট জেলা পুলিশের আওতাধীন গোলাপগঞ্জ ও বিশ্বনাথে ১৭৭ কেন্দ্রের মধ্যে ৯০টি ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সুফিয়ান বলেন, গোলাপগঞ্জ-বিশ্বনাথে এক হাজার ২৪৭ জন পুলিশ সদস্য এবং দুই হাজার ১২৪ জন আনসার সদস্য রয়েছেন।


তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে একজন উপ-পরিদর্শকের (এসআই) নেতৃত্বে পাঁচজন এবং সাধারণ কেন্দ্রে চারজনের ফোর্স স্ট্যান্ডবাই রয়েছে।  গোলাপগঞ্জে ২১টি ও বিশ্বনাথে ১৬টি মোবাইল টিম রয়েছে এবং প্রতিটিতে পুলিশের পাঁচজন করে সদস্য।

 


গোলাপগঞ্জ ও বিশ্বনাথে চারটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স রয়েছে। প্রতিটিতে ১০ জন করে পুলিশ সদস্য। দুই উপজেলায় ডিবির ছয়টি টিমও রয়েছে। উপজেলা দুটিতে এপিবিএনের ১০ জনের দুটি টিম রয়েছে, মাঠে রয়েছে বিজিবিও।

 


স্ট্রাইকিং টিমের সঙ্গে ২১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন। এর মধ্যে গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ১২ জন ও বিশ্বনাথ উপজেলায় নয়জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। দুটি উপজেলায় দায়িত্ব পালন করছেন দুজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।   

 


সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মহানগরের আওতাধীন সদর ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ১২৫টি কেন্দ্রে এক হাজার ২৭৫ জন পুলিশ ও এক হাজার ৬২৫ জন আনসার সদস্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন। 

 

 

তিনি বলেন- সিলেট সদর উপজেলায় ৬২টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৭টি সাধারণ এবং ৪৫টি গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) ধরা হয়েছে। আর দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় ৬৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৪টি সাধারণ ও ৩৯টি ঝুঁকিপূর্ণ ধরে নিরাপত্তা পরিকল্পনা করা হয়েছে।

 

 

সাইফুল বলেন, দুটি উপজেলায় সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি কেন্দ্রে চারজন করে পুলিশ সদস্য স্ট্যান্ডবাই রয়েছেন। সেই সঙ্গে ১৩ জন করে আনসার সদস্য। প্রতি তিনটি ইউনিয়নে ছয়জনের করে ১৫টি স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করছে। তিনটি করে কেন্দ্রে মোবাইল টিম টহল দিচ্ছে।

 

এর বাইরেও সিআরটি, সাদা পোশাকে পুলিশ, বিজিবি দায়িত্ব পালন করছে। এ ছাড়া নির্বাচন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার রোধে পুলিশের সাইবার টিমও তৎপর রয়েছে। 

 

 


সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান বলেন, সিলেটের চারটি উপজেলায় নির্বাচনে ৩৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের দিন দায়িত্ব পালন করছেন।


নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, নির্বাচনে সিলেটের চারটি উপজেলায় চারজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে ৩৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন দায়িত্বে। এর মধ্যে সিলেট সদর উপজেলায় সাতজন, দক্ষিণ সুরমায় আটজন, গোলাপগঞ্জে ১২ জন এবং বিশ্বনাথে নয়জন।

 

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডালিম