করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে কুলাউড়ায় বসা কোরবানীর গরুর হাটে বেশীরভাগ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। কানায় কানায় পূর্ণ কুলাউড়ার প্রতিটি গরু ছাগলের হাটে যেন করোনা সংক্রমণের বাজারে রূপ নিয়েছে। প্রশাসনের তেমন তদারকিও লক্ষ্য করা যায় নি। মানুষের বেশিরভাগ মাস্ক না পড়েই ভিড় ঠেলে গরু দেখতে দেখা গেছে। আবার অনেকের মুখে মাস্ক থাকলেও তা থুতনিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

কুলাউড়ার প্রসিদ্ধ গরু ছাগলের হাটগুলোর মধ্যে স্কুল চৌমুহনী, ব্রাহ্মণবাজার, রবিরবাজারগুলোতে শুরুতে বেচাকেনা কম হলেও শেষ মুহূর্তে বিক্রি বেড়ে যায়। হাটের সময় ফুরিয়ে আসায় দামও ছাড়তে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারাও স্বস্তিতে কিনেছেন কোরবানির পশু। এবারের গরু বাজারে বেশী বিক্রি হচ্ছে দেশী জাতের গরু। ফার্মের গরুর সংখ্যা বাজারে বেশী থাকলেও তা কেনাবেচা কম দেখা গেছে। বিশেষ করে ৫০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা দামের গরু বিক্রি হচ্ছে বেশী।


এদিকে মাঝারি আকৃতির যেসব গরু গত দুইদিন আগে বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা সেই গরু শেষদকে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা দামে। কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, হাটে পশু বিক্রয় কম। এ ছাড়াও অধিক দামের আশায় ব্যবসায়ীরা দূর দূরান্ত থেকে গরু বাজারে এনেছেন। যদি বিক্রি করতে না পারেন তাহলে অনেক বেশী ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। তার চেয়ে ভালো অন্তত মূল পুঁজিটা তুলে নেয়া।

দামের আশায় গত দুইদিন কেউ কেউ পশু বিক্রয় করেনি। এখন ঈদের সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে সবাই দ্রæত পশু বিক্রয়ে তোড়জোড় করায় বিক্রেতারা দাম কম হাঁকাচ্ছেন। এ ছাড়াও গত বছরের তুলনায় করোনায় এ বছর হাটে বিক্রয় কম হচ্ছে। অনেকেই পশু দেখে না কিনে বাড়ি ফিরে গেছে। এ কারণে দাম কমছে।

কুলাউড়ার বড় পশুর হাট স্কুল চৌমুহনী, রবিরবাজার সরেজমিন ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। সরেজমিন দেখা যায়, পশুর হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই ছিল না। অনেকেই মাস্ক ছাড়াই ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। হাটে ছিল প্রচন্ড পরিমাণের ভিড়।

একস্থান দিয়ে হাটে প্রবেশ করে ওই প্রবেশপথ দিয়েই আবার বের হতে হয় ক্রেতা, বিক্রেতাদের। হাটের প্রবেশ পথগুলোতে হাত ধোয়ার কোনো ব্যবস্থা দেখা যায়নি। এতে করোনা ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় আছেন সচেতন মহল। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে হাট কর্তৃপক্ষ মাইকে ঘোষণা দিলেও কেউ এসবে গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলে দেখা গেছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডিজেএস-৩