সিলেটে হঠাৎই বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। আড়াই শ গ্রাম কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। প্রতি কেজির দাম ৪০০ টাকা। বাজারে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত কাঁচা মরিচ কেজিতে বিক্রি হয় ১০০ টাকায়। ঈদের পরদিন কেজিতে ৩০০ টাকা দাম বেড়েছে।

ঈদে সবজির আড়তে কম পণ্য আসায় বাড়তি দাম চাচ্ছেন বিক্রেতারা। তবে আরও কয়েক দিন পর দাম স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা। এ সময়ে সবজির দামও কিছুটা বেড়েছে। ৫-১৫ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে টমেটো, গাজর, শসা, করলা।


আজ বৃহস্পতিবার সিলেটের বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে ঈদের আগে ধনেপাতার দাম বাড়তি থাকলেও ঈদের পরদিন কিছুটা কমেছে। ক্রেতারা বলছেন, ঈদে অনেক ব্যবসায়ী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। বাজারে থাকা কিছু বিক্রেতারা ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছেন। তবে বিক্রেতারা বলছেন, আড়তে মালামাল কম আসায় আড়তদারেরা দাম বাড়িয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট নগরের সোবহানীঘাট সবজির আড়ত ও বন্দরবাজার, কাজীরবাজার এবং রিকাবীবাজার সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতার আনাগোনা কিছুটা কম। এরপরও বিক্রেতারা বাড়তি দাম চাচ্ছেন।

নগরের বন্দরবাজার এলাকার সবজি ব্যবসায়ী আরিফ মিয়া বলেন, ‘ঈদের আগের দিনও কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি। ঈদের কারণে সবজির গাড়ি আসেনি। আড়তেও কাঁচা মরিচ নেই। অনেক ঘুরে কিছু মরিচ সংগ্রহ করেছি। এর জন্য দাম বেশি।’

সবজি কিনতে আসা নগরের মাছুদীঘির পাড় এলাকার বাসিন্দা রমেশ রায় বলেন, ‘হঠাৎই কাঁচা মরিচের দাম বাড়তি চাচ্ছেন দোকানদারেরা। গত এক সপ্তাহ আগেও কেজিতে ৯০ টাকায় নিয়ে গেছি। আজ ৪০০ টাকা। এ জন্য এক কেজির জায়গায় আড়াই শ গ্রাম নিয়ে যাচ্ছি।’

নগরের রিকাবীবাজার এলাকায় কাঁচা মরিচ এক কেজি একসঙ্গে নিলে বিক্রি হয় ৩৫০ টাকায়। ১০০ গ্রাম ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ী হোসেন আহমদ বলেন, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কাঁচা মরিচ আসে। তবে ঈদের কারণে দুই দিন ধরে কাঁচাবাজারে সবজি কম আসছে। তিনি প্রতি কেজি গাজর বিক্রি করছেন ১০০ টাকায়, শসা ৬০ টাকায়। দু–এক দিন পর দাম স্বাভাবিক হতে পারে বলে তাঁর আশা।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডিজেএস-১৬