দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী নাসির উদ্দীন, সিনিয়র সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মকসুদ হোসেন এক বিবৃতিতে পাঁচ বছর পর পর সব সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সম্পদের  হিসাব দেওয়া  এবং সম্পত্তির  ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার বিধান থাকলেও তা কেউ মানছেন না। এই প্রেক্ষাপটে  সচেতন এবং দেশপ্রমিক জনগণের দাবি বিবেচনায় এনে সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বিধিমালা কার্যকর করার জন্য সরকারের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সরকারের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে আমলাদের জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সুশাসন নিশ্চিত করতে উল্লেখিত বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জোর নির্দেশনা দিয়েছেন। একযুগ ধরে ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ সরকার। এই সময়ের মধ্যে দেশে একদিকে যেমনি উন্নতি, অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে তেমনি কতিপয় দুর্নীতিবাজ আমলারা নিজেদের আখের গুছিয়ে নিচ্ছে। এতে সরকারের বদনাম হচ্ছে। দেশে দুর্বৃত্তরা ফয়দা  নিতেছে ও নিবেদিত  দেশপ্রমিকরা নিগৃহীত হচ্ছেন।


২০১৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী তার মন্ত্রণালয়ের চাকুরীজীবীদের জবাব দিহিতার আওতায় আনার লক্ষে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির  কর্মচারীর সম্পদের হিসাব নিয়েছিলেন। সেই উদ্যোগ জনমনে প্রশংসা কুড়ায়।

নেতৃবৃন্দ  জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে এই উদ্যোগ যে কোন মূল্যে বাস্তবায়ন দেখতে চায় দেশবাসী। মহামারী করোনা রোধে সরকার যে জোরালো পদক্ষেপ নিয়েছেন, ঠিক তেমনি দুর্নীতির মহামারী দমনে কঠোর লকডাউন জরুরি।  

উল্লেখ, ১৯৯৮ সাল হতে এই বিষয়টি সহ অন্যান্য দাবিতে সিলেট নগরী সহ কয়েকটি জেলায় দুর্নীতি মুক্তকরণ ফোরাম বাংলাদেশ রাজপথে আন্দোলন করে আসছে।

সিলেটভিউ২৪/ শাদিআচৌ-০২