যুবসমাজ। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে রয়েছে ২৫-৩০টি হাটবাজার ছাড়াও রয়েছে অর্ধশতাধিক পয়েন্ট। করোনা ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুবাদে এসবে জড়িয়ে পড়েছে যুবকদের পাশাপাশি ছাত্রসমাজও। চা ও মুদি দোকান থেকে শুরু করে বিভিন্ন দোকানসহ যত্রতত্র বাজি ধরে চলছে তাস, গাফলা, লুডু ও ক্যারাম খেলার আড্ডা। এসব প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটিসহ সমাজের কেউই এগিয়ে আসছেন না। অরাধজনিত এসব কর্মকান্ড দেখেও না দেখার ভান করছেন সংশ্লিষ্টরা।

উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের পূর্ব চাইরগাঁও খেয়াঘাট, চাইরগাঁও, সারপিন পাড়া, সোনাপুর গ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে চলছে সকাল সন্ধা জুয়ার আড্ডা। স্থানীয় সোনালি চেলা বিজিবি ক্যাম্পের টহলরত সীমান্তরক্ষীদের চোঁখে ধূলো দিয়ে ভারত সীমান্তের জিরো পয়েন্টে চেলানদীর পাড়ে প্রতিদিন সন্ধায় বসে জুয়ার আসর। এলাকার বিভিন্ন গ্রামের বাড়িতেও গড়ে ওঠেছে জুয়ার আস্তানা।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানায়, উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের কলাউড়া মার্কেটের ইসমাইল, তোরাব আলী, উত্তর কলাউড়া খোকন মিয়া, বাঁশতলা গ্রামের হানিফ মিয়া, পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের শিহাব উদ্দিন, জলসি গ্রামের আঙ্গুর মিয়া ও হাফিজ উল্লাহর দোকান, নলুয়া, উষাইর গাঁও ও বড়কাপন-শ্রীপুর সড়কে অবস্থানরত বিভিন্ন দোকানসহ জলসি উঁচু ব্রীজের পাশে প্রতিনিয়ত বসে উঠতি যুবকদের জুয়ার আড্ডা। এছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন এলাকার আরো অনেকেই জানান, উপজেলার ব্রিটিশ পয়েন্ট, চৌমুহনী পয়েন্ট, রাবার ড্যাম, হকনগর, বালিউরা, নাছিমপুর, নরসিংপুর, বগুলা, কান্দাগাঁও, মহব্বতপুর, টেংরা, টেবলাই, আমবাড়ি, কাটাখালি, শ্রীপুর, দোহালিয়া, জলসি চানপুর, লিয়াকতগঞ্জ, শ্যামলবাজার, বান্দের বাজার, বঙ্গবন্ধু বাজার, পূর্ব ও পশ্চিম বাংলাবাজারসহ উপজেলার অধিকাশ হাটবাজার ও বিভিন্ন পয়েন্টে ভ্যাট বা টাকার বাজিতে বছরজুড়ে জুয়ার আসর বসলেও দেখার কেউ। তবে অভিযোগ কিংবা নিয়মনীতি বহাল রক্ষার্থে মাঝেমধ্যে পুলিশের হানায় জুয়াড়িদের আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়। তাই ছাত্র ও যুবসমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরিয়ে এনে অপরাধমুক্ত সমাজ গঠনে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন নাগরিক সমাজসহ অভিজ্ঞ মহল।

জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেবদুলাল ধর বলেন, অপরাধমুক্ত উপজেলা গঠনে জুয়া, মাদক, চোরাচালান ও দূর্নীতিসহ অপরাধজনিত সকল কর্মকান্ড প্রতিরোধ করতে আমরা বদ্ধপরিকর। তাই সমাজ থেকে এসব নির্মুলে পুলিশের পাশাপাশি জনগনের সহযোগিতা একান্তই কাম্য। ইতিপূর্বে মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি ও জুয়াড়িসহ বিভিন্ন স্তরের অপরাধীদের গ্রেফতারমূলে জেলহাজতে পাঠাতে আমরা সক্ষম হয়েছি। অপরাধ নির্মূলে পুলিশ সর্বদাই তrপর রয়েছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডিজেএস-২