কানাডার টরন্টোতে সড়ক দুর্ঘটনায় নাদিয়া মজুমদার (১৭) নামের এক কিশোরী নিহত হয়েছেন। দেশটির সময় মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টরন্টোর বার্চমাউন্ট-ড্যানফোর্থ রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নাদিয়ার গ্রামের বাড়ি সিলেটে।

জানা যায়, বার্চমাউন্ট-ড্যানফোর্থ রোডে সিগন্যাল পার হওয়ার সময় একটি মিনি ভ্যান নাদিয়াকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।


পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ৪০ বছর বয়সী ভ্যানচালক ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিলেন।

১৭ বছর বয়সী নাদিয়া বার্চমাউন্ট কলেজিয়েট স্কুলের ১২ গ্রেডের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাবার নাম সুমন মজুমদার।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টরন্টোস্থ মসজিদ আল-আবেদীন, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারে নাদিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তার মরদেহ রিচমন্ড হিলে দাফন করা হয়।

এদিকে, নাদিয়ার মৃত্যুর খবরে টরন্টোর বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

কানাডাপ্রবাসী সাংবাদিক, নতুনদেশ-এর প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক শওগাত আলী সাগর এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “কাল (পরশু) রাতে যখন খবরটা শুনি, বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠেছিলো। বার বার কেবল মনে হচ্ছিলো- আমার মেয়ে বর্ণমালাও তো গ্রেড টুয়েলভে পড়ে। বর্ণমালাও তো পাবলিক ট্রান্সপোর্টে স্কুলে যায়! আহা! নাদিয়া! আহা!

বার্চমাউন্ট কলেজিয়েট স্কুলের গ্রেড টুয়েলভ এর ছাত্রী নাদিয়া মজুমদার। স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে বার্চমাউন্ট-ডেনফোর্থ ইন্টারসেকশনে গাড়ির ধাক্কায় মারাত্মক আহত হয়ে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে নাদিয়া। বাংলাদেশি বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান নাদিয়া, আহা!

নাদিয়াতো নিয়ম মেনে ক্রসিং দিয়েই রাস্তা পার হচ্ছিলো। লেফট টার্ন নেয়া গাড়িটা তাঁকে দেখলো না কীভাবে! দিনেদুপুরে কীভাবে এমন দুর্ঘটনা ঘটে! নাদিয়ার অকাল মৃত্যুর শোক টরন্টোর বাঙালি কমিউনিটিই সইতে পারছে না। তাঁর বাবা-মা কীভাবে সইবেন! কীভাবে!”

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে