মাঠে গড়ালো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক (অনূর্ধ্ব-১৭) ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৭) ২০২১ এর জাতীয় পর্যায়ে খেলা।

বুধবার বিকেলে কমলাপুরস্থ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।


অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্হায়ী কমিটির সদস্য জাকিয়া তাবাসসুম জুই এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বাসন্তী চাকমা এমপি, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের স্হায়ী কমিটির সদস্য তামান্না নুসরাত বুবলী এমপি ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই খেলাধুলার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেন। যার ফলে ক্রিকেট ফুটবল সহ সকল খেলায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে এবং হচ্ছে। ফুটবলের এই টুর্নামেন্টসমূহ গ্রাম-গঞ্জের সর্বত্রই একটা ব্যাপক সাড়া সৃষ্টি করেছে। খেলাধুলায় সম্পৃক্ত হওয়ায় আমাদের সন্তানরা বিপদগামী না হয়ে সঠিক পথের দিশা পাচ্ছে। এজন্য ক্রীড়া মন্ত্রণালয় প্রসংশার দাবীদার।’

সভাপতির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মানসম্মত খেলোয়াড় তৈরির লক্ষ্যে আমরা এই টুর্নামেন্ট থেকে প্রতিভাবান ফুটবলারদেরকে দেশের ভেতরে এবং বিদেশে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি। বিগত টুর্নামেন্ট হতে ৪ জন প্রতিভাবান ফুটবলারকে ব্রাজিলের গামা ক্লাবে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও ৪২ জন ফুটবলারকে বিকেএসপিতে ৩ মাস উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এ বছরেও বালক-বালিকা হতে বাছাই করা সেরা প্রতিভাবান তরুণ ফুটবলারদের ব্রাজিল এবং ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশ হতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুই ধাপে ৮০ জন খেলোয়াড়কে বিকেএসপিতে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।’

জাতীয় পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে আট বিভাগের বালক এবং বালিকা দল। উদ্বোধনী ম্যাচে ট্রাইবেকারে ঢাকা বিভাগ হারিয়েছে বরিশালকে।

গত ২৯ মার্চ টঙ্গীর শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় ২০২১ সালের খেলা। উপজেলা পর্যায়ে বালক বিভাগে অংশ নেয় সারা দেশের ৪৫৭১টি ইউনিয়ন এবং ২৫৭টি পৌরসভা সহ ৪৮২৮টি দলের মোট ৮৬৯০৪ জন খেলোয়াড়। উপজেলায় বাছাইকৃত সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে অংশ নেয় ৪৯২টি উপজেলা, ২৯টি সিটি কর্পোরেশন এবং ৬০টি পৌরসভাসহ মোট ৫৮১টি দল।

জেলা পর্যায় থেকে অংশ নেয় বালিকারাও। বালক এবং বালিকাদের মোট ১১৬২টি দলের ২০৯১৬ জন খেলোয়াড় নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা। জেলায় অংশ নেওয়া প্রতিটি দল থেকে বাছাইকৃত সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে আয়োজন করা হয় বিভাগীয় প্রতিযোগিতা। যেখানে অংশ নেয় ৬৪টি জেলা এবং ৪টি পৌরসভাসহ ৬৮ দলের ২৪৪৮ জন বালক এবং বালিকা।

টুর্নামেন্টের শেষ ধাপ হচ্ছে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা। যেখানে অংশ নিচ্ছে ৮টি বিভাগীয় বালক এবং বালিকা দলের ২৮৮ জন খেলোয়াড়। জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা থেকে চূড়ান্তভাবে বাছাই করা হবে ৪০ জন বালক এবং ৪০ জন বালিকা ফুটবলার। বাছাইকৃত খেলোয়াড়দের নিয়ে বিকেএসপিতে ৩ মাসের নিবিড় আবাসিক ক্যাম্প আয়োজন করা হবে। ক্যাম্প থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের জন্য বিদেশে উন্নত প্রশিক্ষণের সুযোগও রয়েছে এই আয়োজনে।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-০৫


সূত্র : জাগোনিউজ