২০২২-এ সিলেটে বন্যা।

জলবায়ু সম্মেলনের ২৮তম আসরে যোগ দিতে দুবাই যাচ্ছিলাম। বিমানের ভেতর আলাপ হয় সায়েদের সঙ্গে। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বাড়ি। সায়েদ যাচ্ছিল তার বাবার টাকাপয়সা আনতে। ২০২৩ সালের ২ অক্টোবর তার বাবা মারা যান। ১৯৯৬ সালে আবুল বাশার দুবাই যান। রুক্ষ মরুর বুকে সবুজ বলয় গড়তে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। দুবাই শহরে সড়কপথ এবং চত্বরে আজ যে ফুলের বাগান ও খেজুর গাছের সারি দেখা যায়, তাতে সায়েদের পিতার অবদান আছে। বৃক্ষরোপণ এবং কলমের জন্য তিনি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিলেন। বৃক্ষরোপণের জন্য তিনি দুবাইতে পুরস্কারও পেয়েছেন। মোবাইলের পর্দায় সায়েদ তার বাবার কাজের নানা ছবি দেখিয়েছিল। আবুল বাশার মরুর বুকে কাজ করছেন, বাহারি ফুলের বাগান, পদকপ্রাপ্তির ছবি। মেঘের দলার ভেতর দিয়ে উড়ে গেলেও জানালা দিয়ে প্রখর রোদের ছলকানি আমাদের চোখেমুখে।

 


বিমানের জানালা টেনে নামিয়ে দিলাম। সায়েদ বলেছিল, ‘... দুবাই গেলে দেখবেন খালি রইদ আর রইদ, কোনো পানি নাই, বৃষ্টি বন্যা নাই, এই রইদের ভেতরেই আব্বা গাছের চারা লাগাইয়া বড় করছে, ফুল ফুটাইছে।’ যতদিন দুবাই ছিলাম, আসলেই প্রখর রোদ, এমনকি আকাশে এক বিঘত মেঘের ছায়াও মেলেনি। মাটি নেই, মরুর বালি। হাতে নিয়ে নানাভাবে দেখলাম মরুর মাটি। কোনো আর্দ্রতা নেই। শহর জুড়ে লম্বা পাইপের সারি দিয়ে নানা জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে বাগান ও সবুজবলয়। প্রবল রোদের ভেতর সেসব জায়গার ছায়াময় প্রশান্তি এখনো মনে ভাসে। ভাবি, রুক্ষ মরুর বুকে এমন ছায়াশীতল সবুজবলয় তৈরিতে আমাদের আবুল বাশারদের মতো বহু বাংলাদেশির হয়তো ভূমিকা আছে।

 

দুবাইয়ের বানিয়াস স্কয়ারে বাংলাদেশের অভিবাসী শ্রমিকরা থাকেন। বিশ, দশ, পাঁচ, সাত, তিন, দুই বছর। নানাজনের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। এদের গরিষ্ঠভাগই প্রবল বর্ষণ দেখেননি দুবাইয়ে। কিন্তু আজ এই মরুর দেশ ডুবছে প্রবল বর্ষণে। বন্যায় রাস্তাঘাট, গাড়ি, দোকান বহু কিছু ডুবে গেলেও দুবাইয়ের মতো অতি ধনী শহরে এই আচমকা বন্যা কোনো ‘দুর্যোগ’ তৈরি করেনি। প্রাণঘাতী ছিল না। হাহাকার কিংবা বাঁচার আর্তনাদ শোনা যায়নি। ত্রাণের লম্বা লাইন দাঁড়ায়নি। পৃথিবীর সব দেশে সব সমাজে বন্যা একই রকম অভিজ্ঞতা ও নিদারুণ যন্ত্রণা তৈরি করে না। তারপরও একেক সময় প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা দুবাইয়ের জন্য এক অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতা। কারণ এই ধনী শহরটির বন্যা মোকাবিলার জন্য এক ব্যাংকে নগদ জমানো ছাড়া আর কোনো প্রস্তুতিই ছিল না। নাগরিকজীবনে ভোগান্তিও তৈরি করেছে দুবাইয়ের এই সাম্প্রতিক বন্যা।

 

দুবাইয়ের বন্যা নিয়ে নানা মাধ্যমে বহু তর্ক হচ্ছে। এটি কী প্রাকৃতিকভাবেই ঘটেছে নাকি কৃত্রিমভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘ক্লাউড সিডিং’ করে এটি ঘটানো হয়েছে? দুবাইয়ের সাম্প্রতিক বর্ষণ বিরল হলেও এর সঙ্গে আমিরাতি ভোগবিলাসিতার সম্পর্ক আছে। জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর এই ভোগবাদের কারণেই পৃথিবী গ্রহের জলবায়ু পঞ্জিকা উল্টেপাল্টে যাচ্ছে। মরুর দেশ আজ ডুবছে বন্যায়, আর বন্যার দেশ পুড়ছে তীব্র খরায়। দুনিয়ার সবচেয়ে উঁচু দালান দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা বানের পানিতে ডুবছে। কেবল মরুর দেশে নয়; নদীমাতৃক বাংলাদেশেও নিদারুণভাবে ডুবেছে সিলেট বিমানবন্দর কিংবা বান্দরবানের মতো পাহাড়ি এলাকাও। প্রমাণিত হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে একেক সময়ে দীর্ঘ প্রবল বর্ষণ বাড়ছে এবং তৈরি হচ্ছে আকস্মিক বন্যা।

 

দুবাইয়ের সাম্প্রতিক এই বন্যা কয়েক বছর আগে বাংলাদেশের সিলেট-সুনামগঞ্জ এবং বান্দরবানের বন্যার কথা মনে করিয়ে দেয়। তীব্র দাবদাহের ভেতর গণমাধ্যমে প্রকাশিত দুবাইয়ের সাম্প্রতিক বন্যার ছবিগুলো দেখে আবার বারবার দুবাই জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্বনেতৃবৃন্দের দশাসই সব অঙ্গীকারের কথা মনে আসছে। যে কোনো বিপদ অবশ্যই নানাভাবে ভোগান্তি ও ক্ষত তৈরি করে। টাকার গরম থাকলেও এই বন্যার জের দুবাইকে হিসাবে নিতে হবে। কারণ দুবাই অবকাঠামোগতভাবে অতি উন্নত শহর হলেও, এখানে বন্যা মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট নিষ্কাশনব্যবস্থা এবং এমনকি অবকাঠামোগত প্রস্তুতি ছিল না। দুবাইবাসীর জীবনে এই বন্যার ক্ষত ও দাগ সেরে উঠুক। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রাষ্ট্র থাকুক। একই সঙ্গে সাম্প্রতিক বন্যা থেকে আমিরাতি ভোগবাদকে শিক্ষা নিতে হবে। কারণ ভোগের পাল্লা না থামলে উষ্ণতার পারদ বাড়বেই, অতিবর্ষণ কিংবা অনাবৃষ্টি বাড়বেই। সিলেটের বন্দর, বান্দরবানের পাহাড় কিংবা দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা ডুবতেই থাকবে। হয়তো সামনে আবহাওয়ার মতিগতি আরও অচেনা হবে, ভোগান্তি আর যন্ত্রণার চাপ বাড়তেই থাকবে। চলতি আলাপখানি দুবাইয়ের সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতিকে সামনে রেখে আবারও সবাইকে বৈশ্বিক জলবায়ু সুরক্ষা প্রশ্নে দায়িত্বশীল হওয়ার দাবি জানায়। জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর ভোগবাদকে বাতিল করে একটিমাত্র মাতৃদুনিয়ার প্রশ্নে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার দাবি জানায়।

 

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমুদ্র উপকূলে অবস্থিত দুবাইয়ের আবহাওয়া শুষ্ক। বার্ষিক গড়ে ১০০ মিলিমিটারের কম বৃষ্টিপাত হয়। কখনোবা ভারী বর্ষণও হয়। ‘ক্লাউড সিডিং’ হলো কৃত্রিমভাবে বিমান দিয়ে আকাশের মেঘে সিলভার আয়োডাইড ছড়িয়ে বৃষ্টি তৈরি করা। সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের পানির সংকট মোকাবিলায় এ পদ্ধতি ব্যবহার করছে। তবে এবারের ভারী বর্ষণ ‘ক্লাউড সিডিং’ নয়। কারণ দুবাইয়ে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস আগে থেকেই ছিল। আমিরাতের অঞ্চলগুলো শুষ্ক উষ্ণ অঞ্চলে অবস্থিত এবং প্রতিনিয়ত এখানে উষ্ণতা বাড়ছে। উষ্ণ বাতাস আর্দ্রতা বেশি ধরে রাখে এবং বর্ষণের প্রবলতা বাড়াতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতিনিয়ত পৃথিবীর নানা অঞ্চলে এই একক সময়ে বা অসময়ে তীব্র ভারী প্রবল বর্ষণ বাড়ছে এবং সহসা বন্যা পরিস্থিতি বা জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে।

 

আলাপের এ পর্যায়ে বাংলাদেশের সিলেট-সুনামগঞ্জ এবং বান্দরবানের সাম্প্রতিক বন্যার প্রসঙ্গ টানা যাক। ২০২২ সালে অতি ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের প্রায় ৯০ ভাগ আর সিলেটের ৬০ ভাগ তলিয়ে যায়। বিমানবন্দর, বাজার, দোকান, হাসপাতাল, শিক্ষালয় সব বন্ধ হয়। বিদ্যুৎ ও কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কৃষিজমি তলিয়ে যায়। এলাকাটি পৃথিবীর সর্বাধিক বৃষ্টিপ্রবণ এলাকা উত্তর-পূর্ব ভারতের চেরাপুঞ্জির ভাটিতে অবস্থিত। চেরাপুঞ্জি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরের মাওসিনরামে ১৫ জুন ২০২২ তারিখে ৭১০.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, ১৯৬৬ সালের পর সেটি সর্বোচ্চ। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সিলেটে ১৭ জুন ২০২২ তারিখে ২৮২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। ২০২২ সালের জুনে তিন দিনে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হয় ২৪৫৮ মিলিমিটার, যা বাংলাদেশের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের চেয়ে বেশি। চেরাপুঞ্জি থেকে বৃষ্টির পানি পাহাড়ি ঢল হয়ে কুশিয়ারা-সুরমা হয়ে হাওরাঞ্চল প্লাবিত করে মেঘনা দিয়ে সাগরে প্রবাহিত হওয়ার কথা। কিন্তু একেক সময়ে ভারী বর্ষণ হওয়ায় এত পানি সঞ্চয় এবং প্রবাহের প্রাকৃতিক আধারগুলো বন্ধ থাকায় সিলেট ও সুনামগঞ্জ তলিয়ে যায়। নদী, খাল, হাওর, ছড়া, জলাভূমিগুলো ভরাট এবং নালাগুলো প্লাস্টিকে আবদ্ধ থাকায় নিদারুণ বন্যায় ডুবে থাকে সিলেট। সিলেট-সুনামগঞ্জের মতোই একেক সময়ে অতি ভারী বর্ষণে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় ২০২৩ সালে দেশের সবচেয়ে উঁচু পাহাড়ি এলাকা বান্দরবানে। পাহাড়ধস ও পানিতে ডুবে মারা যান ১৪ জন। সাঙ্গু নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৮১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং মাতামুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ২২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। অতি বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢলের পানি সরে যাওয়ার মতো সব প্রাকৃতিক ব্যবস্থা উন্নয়নের নামে বন্ধ ছিল বান্দরবানেও। তাই সিলেট, সুনামগঞ্জের মতো ডুবেছে বান্দরবানও। তাহলে কী দুবাইতেও ভারী বর্ষণ হলে পানি নিষ্কাশনের কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই। যদি থাকত তাহলে কী জলাবদ্ধ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতো? কিন্তু কেন থাকবে না? কারণ বিজ্ঞানীরা বারবার এ ধরনের আবহাওয়াগত পরিস্থিতি ও জলবায়ুগত বিপদের কথা বলছেন। সব দেশকেই আজ জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় অবকাঠামোসহ নানাভাবে কার্যকর প্রস্তুতি গ্রহণ করা দরকার। কিন্তু এসব তো কেবল বিপদ তৈরি হওয়ার পর বিপদ  মোকাবিলা করে টিকে থাকার কলাকৌশল, সামগ্রিকভাবে যাতে বিপদ তৈরি না হয় সেই দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি আমাদের কবে হবে? বিশেষ করে দুবাইয়ের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভর ধনী ভোগবাদী রাষ্ট্রগুলো কবে জলবায়ু সুরক্ষা প্রশ্নে তৎপর হবে?

 

জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমন হয়। পৃথিবী উত্তপ্ত হয় এবং কোথাও একেক সময়ে অতি ভারী বর্ষণের মতো বিপদ তৈরি হয়। জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর দাঁড়িয়ে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের উন্নয়ন-অর্থনীতি। দুবাই জলবায়ু সম্মেলনের সভাপ্রধান ছিলেন আমিরাতের জাতীয় তেল কোম্পানি অ্যাডনকের প্রধান নির্বাহী সুলতান আল-জাবের। আল-জাবের কীভাবে বৈশি^ক জীবাশ্ম জ্বালানি তর্ককে সামাল দেন, সেটি ছিল এক বৈশ্বিক আলাপের বিষয়। ২০১৫ সালে করা ‘প্যারিস চুক্তি’ অনুযায়ী বৈশি^ক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রির ভেতরে রাখা ও ক্রমান্বয়ে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর অঙ্গীকার করেছে বিশ^। ২০৩০ সাল পর্যন্ত আমরা একটি লক্ষ্যরেখা নির্ধারণ করেছিলাম। আর মাত্র কয়েক বছরে আমরা কী সেই লক্ষ্যরেখায় পৌঁছতে পারব? দুবাইতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ জলবায়ু সম্মেলনের পর দুবাইয়ের এই সাম্প্রতিক বন্যা কী দুনিয়া জুড়ে টিকে থাকা নয়াউদারবাদী ভোগবাদকে কোনো বার্তা দিতে পেরেছে? দুবাই জলবায়ু সম্মেলনে ২০০টি দেশের ৮৫ হাজার প্রতিনিধি ১৩ দিনে তহবিল, অর্থায়ন, অভিযোজন, প্রতিশ্রুত অঙ্গীকার বিষয়ে কত তর্ক, বাহাস, অঙ্গীকার ও আলাপ করেছেন। সেসব কী আমরা বিস্মৃত হয়ে যাব?

 

দুবাইয়ের সাম্প্রতিক বন্যায় আবুল বাশারের লাগানো গাছগুলো কী ডুবে গেছিল? আবুল বাশারদের মতো অভিবাসী শ্রমিকদের ঘামেই দুবাই এক ঝলমলে ধনী শহর। দুবাইতে অবস্থিত আধা মাইল লম্বা দুনিয়ার সবচেয়ে উঁচু দালান বুর্জ খলিফার নির্মাতা এই অভিবাসী শ্রমিকরাই। প্রতিদিন বিকাল হতে কৃত্রিম আলোর নাচন দেখতে ভিড় জমে এখানে। দিনে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ২,৫০,০০০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয় বুর্জ খলিফায়। অথচ এই শহরটিতে ভারী বর্ষণ ও বন্যার পানি নিষ্কাশনের কোনো সুব্যবস্থা নেই। তাহলে কোন বিলাসিতা আর ভোগবাদ দিয়ে আমরা গড়ে তুলছি আমাদের স্থাপত্য, নগর ও জীবন? বুর্জ খলিফায় প্রতিদিন এই আলোর ঝলকানি না দেখালে কী এমন হয় নাগরিক জীবনে? বরং বিদ্যুৎ, পানি, শক্তি খরচ কম হয়। জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর চাপ কমে। পৃথিবী একটু দম পায়। এমনকি পৃথিবীর মোট জ্বালানিশক্তি পৃথিবীর নানাপ্রান্তে সমভাবে বণ্টিত করার একটা প্রয়াস গ্রহণ করা যায়। এসব নানা প্রশ্ন আবারও আমাদের সামনে এনেছে দুবাইয়ের বন্যা। হয়তো আমাদের সতর্ক ও দায়িত্বশীল হওয়ার সময় খুব একটা নেই। সামনে আরও বিপদ পুঞ্জীভূত হচ্ছে। জলবায়ু সুরক্ষায় বৈশ্বিক অঙ্গীকারগুলো পূরণ করা ছাড়া মুক্তির আর কোনো পথ নেই।

 

লেখক: লেখক ও গবেষক
[email protected]

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম / মাহি