মাত্র ১৫ বছর বয়স থেকে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন। জোগাড়ি থেকে রাজমিস্ত্রি হয়েছেন। কাজের খোঁজে ছুটেছেন ভারতের এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে।

তবে গত কয়েক বছর ধরে এলাকায় বেশি কাজ করেছেন।


কিন্তু আগামী দিনে আর কাজ পাবেন কি না, তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমানের মেমারির ইছাপুর দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা সুনীল মুর্মু।
এবার ওই পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের হয়ে জিতেছেন তিনি। সুনীলের আশঙ্কা, কাউন্সিলর হয়ে গেছেন বলে এলাকার লোকজন হয়তো কাজ দিতে ইতস্তত করবেন। কিন্তু তাঁর দুশ্চিন্তা- কাজ না পেলে সংসার চালাবেন কী করে।

সুনীলের স্ত্রী অঞ্জলি মুর্মু জমিতে কাজ করেন। দুই মেয়ে রয়েছে তাঁদের। মেমারি বাসস্ট্যান্ডের তৃণমূলের বাসকর্মী ইউনিয়ন অফিসে বসে ৩৭ বছর বয়সী সুনীল বলেন, বেশ কয়েক বছর আর অন্য রাজ্যে কাজে যাইনি। মেমারিতেই পাড়া, আশপাশে রাজমিস্ত্রির কাজ করি। প্রথম থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে ছিলাম। দল জনজাতি হিসেবে প্রার্থী করায় আপত্তি করিনি। কিন্তু জেতার পর নানা রকম চিন্তা মাথায় আসছে। কিছুটা ফাঁপরে পড়ে গেছি।

সুনীল আরো বলেন, কাউন্সিলর হওয়ার পর পাড়ার লোকজন আর ভবন নির্মাণে আমাকে ডাকবে কি না, সেটাই ভাবছি। আবার হয়তো দেখা যাবে, আমার হাতে যে প্রাচীর তৈরি হয়েছে, তা নিয়েই কোনো কারণে বিতর্ক শুরু হতে পারে। তখন লোকে বলবে, ওই প্রাচীর কাউন্সিলরই তৈরি করেছে। আজব সমস্যা!

মেমারির ওই ইউনিয়নের নেতা বাবু হাজরাও জানান, সুনীল জেতার পর থেকে খালি ওই চিন্তা করছেন। জেতার খুশির থেকেও পেটে টান পড়বে কি না, সেই ভাবনা করছেন উনি।

ভোটের কয়েক দিন কাজ থেকে ছুটি নিয়েছিলেন। জেতার পরের দিনই মেমারি শহরের বাইরে দুর্গাডাঙায় কাজ করতে ছুটে গিয়েছিলেন সুনীল। তাঁর কথায়, ওয়ার্ডের মানুষের দায়িত্ব নিয়েছি। কাজ খুঁজতে তো অন্য রাজ্যে যেতে পারব না। তাই শহরের বাইরে কাজ করছি।

ভোটের আগে যেসব কাজের বরাত নেওয়া ছিল, এখন সেই সব কাজ করছেন তিনি। কিন্তু কাল বুধবার শপথ নেওয়ার পর পরিস্থিতি বদলে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/জিএসি-১৮


সূত্র : আনন্দবাজার