তাবলীগে যাওয়ার কথা বলে ঘর ছেড়েছিলেন তারা। এরপর পেরিয়ে গেছে প্রায় ছয় মাস। কিন্তু এখন অবধি সিলেটের সেই চার তরুণের কোনো সন্ধান মেলেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সন্দেহ, এসব তরুণরা ‘বিপথগামী’ হয়ে ‘জঙ্গিবাদী’ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যেতে পারে।

‘নিখোঁজ’ চার তরুণ হলেন- সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীরের শেখ সামছুল হক স্বপনের ছেলে শেখ আহমদ মামুন, ছোরাব আলী হাসানের ছেলে হাসান সাঈদ, সিরাজুল ইসলামের ছেলে ছাদিকুর রহমান ও মানিক মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম তুহিন।


তন্মধ্যে মামুন লিডিং ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন। সাঈদ ২০১৮ সালে ঢাকার একটি মাদরাসা থেকে টাইটেল পাস করে বাড়িতে ফিরে সংসারের দেখভাল করতেন। নিরুদ্দেশ হওয়ার মাত্র পাঁচ মাস আগে বিয়ে করেছিলেন তিনি।

অন্যদিকে, ছাদিক দয়ামীর বাজারে একটি জিমে (শরীরচর্চা কেন্দ্র) কাজ করতেন। এ ছাড়া তুহিন স্থানীয় একটি মাদরাসায় কিছুদিন পড়ালেখা করে বাদ দেন। পরে ওসমানীনগরে একটি গ্যারেজে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ শুরু করেন।

তথ্যানুসারে, গত বছরের ১৫ নভেম্বর এ চার তরুণ তাবলিগ জামাতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি ছেড়েছিলেন। কিন্তু বাড়ি থেকে বেরিয়েই তিনজন নিজেদের মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন। তুহিনের সাথে মোবাইল ছিল না।

কয়েকদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও তাদের কোনো খোঁজ না পেয়ে ওই বছরের ২৭ নভেম্বর ওসমানীনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন মামুনের বাবা শেখ সামছুল হক। পরে পুলিশ এ চার তরুণের বিষয়ে সিলেটে তাবলিগ জামাতের দুটি মারকাজে খোঁজ নেয়। কিন্তু তারা তাবলিগে যাওয়ার কোনো তথ্য পায়নি।

শেখ আহমদ মামুনের বাবা শেখ সামছুল হক বলছিলেন,‘ছয় মাস হয়ে গেল ছেলেটার কোনো খোঁজ নেই। সব (আইনশৃঙ্খলা) বাহিনীর লোকজন আমার বাড়িতে এলো, কেউই ছেলেটাকে খোঁজে দিতে পারলো না।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র বলছে, এ চার তরুণের নিখোঁজের বিষয়ে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে। তবে পূর্বের অভিজ্ঞতার আলোকে সিটিটিসি ধারণা করছে, এসব তরুণ ‘জঙ্গিবাদী’ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যেতে পারেন।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে