অ্যালান ডোনাল্ড যখন পেস বোলিং কোচ হিসেবে এসেছেন, তখন বাংলাদেশে পেসারদের ছড়াছড়ি। দেশে পেস উপযোগী উইকেট না থাকলেও অনেক পেসার উঠে আসছেন। তাদের মাঝে ইবাদত হোসেন আর খালেদ আহমেদ তো টেস্ট দলে জায়গা প্রায় পাকা করে ফেলেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দুই টেস্ট হেরে ধোলাই হলেও এই দুই পেসারের প্রাণশক্তি আর ফিটনেস দেখে অবাক হয়ে গেছেন অ্যালান ডোনাল্ড।

শ্রীলঙ্কা সিরিজ সামনে রেখে দুজনের সঙ্গে লম্বা সময় ধরে তিনি কাজ করছেন।


আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে দলের অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের ডোনাল্ড বলেন, 'আমার জন্য সবচেয়ে বিস্ময় ছিল ইবাদত ও খালেদ। বিশেষ করে টেস্ট ম্যাচে। ওদের ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি দেখে চমকে গিয়েছিলাম। ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি বলতে আমি বোঝাচ্ছি ওদের সাহস ও দৃঢ়তা। নিবেদনের ব্যাপার তো আছেই, সঙ্গে ওদের ফিটনেসও। টেস্ট ম্যাচে দুজন করে পেসার ও স্পিনার আগে কখনোই দেখিনি। তবে ওরা যেভাবে ওই দুই টেস্টে নিজেদের মেলে ধরেছে, বিশেষ করে প্রথম টেস্টে ডারবানে ওরা ছিল অসাধারণ। '

তিনি বলেন, 'পুরো বোলিং আক্রমণই ছিল দুর্দান্ত। স্রেফ পাগলাটে ওই আধাঘণ্টা (দুই টেস্টের শেষ ইনিংসে ৫৩ ও ৮০ রানে অল আউট), যা আমাদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে। ওই সময়টা ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে দুটি টেস্টেই অল আউট করতে পারা ছিল দারুণ পারফরম্যান্স। ওদের যতটুক দেখেছি, আমি উচ্ছ্বসিত। প্রতিটি ট্রেনিং সেশনে আমরা যে আলোচনা করেছি এবং যা শেখার চেষ্টা করেছি, সব কিছুই দারুণ গঠনমূলক। আমরা যেভাবে এগোচ্ছি, তাতে আমি খুশি। '

তিন ফরম্যাটেই দলে থিতু হয়ে যাওয়া দুই তরুণ পেসার তাসকিন-শরীফুলকে নিয়ে ডোনাল্ড বলেন, 'ওয়ানডে সিরিজে শরীফুলকে দেখে মুগ্ধ হয়েছি। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও ওকে দেখেছিলাম। তখনো দুর্দান্ত ছিল। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জয়ের ওই আসর থেকেই তার অনেক সম্ভাবনা দেখা হচ্ছিল। তাসকিন এখন ইনজুরিতে আছে। ওকেও দারুণ পছন্দ করি। ওর হৃদয় সোনা দিয়ে মোড়ানো। বিশাল হৃদয়ের ক্রিকেটার। ও যখন ফিরে আসবে, এই পেস আক্রমণের নেতৃত্ব দেবে। আরো অনেক বেশি তাড়না দেখা যাবে তখন। যা দেখছি এখনো পর্যন্ত, আমি রোমাঞ্চিত। '

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/জিএসি-১৫


সূত্র : কালের কণ্ঠ