খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ মজুমদার বলেছেন, কৃষক ঠিক মতে গোডাউনে ধান দিতে পারলে খুশি থাকবেন। কিন্তু গোডাউনে ধান দিতে গিয়ে যদি ধাক্কা খায় তাহলে কৃষক কষ্ট পাবে। আমার একটি কৃষকও যদি গোডাউনো ধান দিতে গিয়ে অসম্মানিত হন তাহলে আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার মন্ত্রণারয় সংশ্লিষ্ট কাউকে ছাড় দিবে না। এটা পরিষ্কার কথা। ৭০০ টাকা দরে কৃষক দান বিক্রি করবেন এটা হতে পারে না। ধানের ন্যায্য মূল্য দিতেই সরকার সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনছে।

মন্ত্রী বলেন, কৃষি দপ্তর উৎপাদন ১২ লাখ মেট্রিকটনের যে হিসেব দিয়েছেন  তা ধানের রেশিওর সাথে চালের পরিমাণ ঠিক আছে কিনা তা বুঝতে হবে। নতুবা খাদ্যমন্ত্রণালয়ের সাথে কৃষি মন্ত্রনালয়ের হিসেবে গরমিল তৈরী হবে। হঠাৎ কোনো বিপর্যয় তৈরী হলে সামলানো যাবে না। এটি ভুল ব্যাখ্যা হয়ে যাবে। ২৪/২৬ ভাগ আদ্রতা ধান হিসেব না করে চালের উৎপাদন হিসেবে ধরিয়ে দিলে হবে না। চালের যে রিশিও হবে সেই হিসেবেই চালের হিসেব দিতে হবে। 


নয়তো দেখা যাবে ১২ লাখ টন ধান ৭ লাখ টনে পড়বে। তাহলে কিন্তু জাতির হিসেব মিলবে না। এতে করে জাতিকে ধোকা দেয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন,  মিল মালিকদের আরও সহনশীল হতে হবে। যাতে করে সিন্ডিকেট তৈরী করে ধানের দাম কমানো না হয়। সুনামগঞ্জে ৪০ হাজার মেট্টিকটন ধারন ক্ষমতার একটি ছাইলো তৈরী করা হবে। যাতে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধান শুকানো ও প্রক্রিয়াকরণ ও গোদামজাত করতে পারেন। এছাড়াও হাওর এলাকার কথা চিন্তা করে আরও ২০০ পেডিছাইলো স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সুনামগঞ্জও ৮ - ১০ টি পেডিছাইলো স্থাপন করার কথা জানান তিনি।

রবিবার (১৫ মে) বিকালে সুনামগঞ্জ জেলায় বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ বিষয়ে মতবিনিময় সভা প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এর সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ ৫ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছা. নাজমুন আরা খানম,  পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অসীম চন্দ্র বনিক, পৌর মেয়র নাদের বখত, সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক জেলা খাদ্যনিন্ত্রক মাইনুদ্দিন, জেলা কৃষি সম্প্রশারনের উপ পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম,  জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খায়রুল কবির রুমেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হায়দার চৌধুরী লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুর রহমান সিরাজ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন,শাল্লা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমীন,  সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান তানভীর আশরাফি,তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদসহ,কৃষক, মিল মালিক প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা বক্তব্য রাখেন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম / শহীনদূর / ডি.আর