খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, হাওরাঞ্চলে ধান-চাল ক্রয়ে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে প্রশাসনকে কঠোর থাকতে হবে। ধান চাল ক্রয়ে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না। গেল ৩ বছর যাবৎ কোনো  ‍ফুরিয়ার মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করা হয় না। কৃষকদের নামে ধান সংগ্রহের তালিকা করা হয়। সেখানে সরাসরি কৃষকের কাছে টাকা চলে যায়। এখানে ফরিয়াদের সুবিধা নেয়ার সুযোগ নেই। তবে সেদিকে আরও নজর রাখতে হবে। 


সোমবার(১৬ মে) বিকেলে শান্তিগঞ্জ উপজেলায় স্থাপিত খাদ্য গুদাম পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। 


 

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, হাওরে নতুন ধান ঘরে উঠলেও চালের দাম কমার কোন সম্ভাবনা নাই। চালের দাম কমলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। ধানের দাম কম পাবেন তারা। তাই ধান চালের সামঞ্জস্যতা রেখেই আমাদের চলতে হবে। সামনে নির্বাচন এই মুহুর্তে চালের দামও বাড়াবেনা সরকার। দেশে এখন কোন মানুষ অসুখী নয়। কেউ না খেয়ে নেই। এই সরকারের আমলেই মানুষ ভালো আছে। সব ধরনের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণেও সরকার সচেষ্ট আছে। 


মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ। এবার আগাম বন্যায় কিছু ক্ষতি হলেও গোলায় ধান তুলতে পেরেছেন কৃষকরা। আরও আগাম জাতের ধান চাষ করে কিভাবে  দ্রুত কেটে ঘরে তোলা যায় সেজন্য কৃষি মন্ত্রনালয় কাজ করছে। বঙ্গবন্ধু- ১০০ ধানের জাত বাজারে আনছে কৃষি বিভাগ। এতে দ্রুত ধান কেটে ঘরে তোলার পাশাপাশি বেশি লাভবান হবেন কৃষকরা। 

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন- খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাঃ নাজমারা খানুম, শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ, উপজেলা  নির্বাহী অফিসার আনোয়ার উজ জামান, ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দোলন রানী তালুকদার, জয়কলস ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত সুজন, শিমুলবাক ইউনিয়নে চেয়ারম্যান শাহীনুর রহমান শাহীন, খাদ্য কর্মকর্তা ধীরাজ নন্দী প্রমুখ।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/এসকে/এসডি-২৯