পল্লবী দের মৃত্যুকে ঘিরে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তীর সঙ্গে বিবাদের কারণেই মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি।

পল্লবীর বাবা নীলু দের দাবি, মেয়ের প্রেমিক সাগ্নিক আগে থেকেই বিবাহিত। রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হয়েছিল তার।


কিন্তু আইনি বিচ্ছেদের পথে না হেঁটেই তার মেয়ের সঙ্গে একসঙ্গে বাস করছিলেন সাগ্নিক। এখানেই শেষ নয়। পল্লবীর সঙ্গে থাকাকালীনই তারই এক বান্ধবীর সঙ্গেও সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সাগ্নিক। পল্লবীর অনুপস্থিতিতে নাকি তাদের ফ্ল্যাটেও আসা-যাওয়া ছিল সেই মেয়েটির।
সাগ্নিকের একাধিক সম্পর্ক নিয়েই বিবাদ শুরু হয় দুজনের। পল্লবীর পরিবারের অভিযোগ, তাদের সামনেই অভিনেত্রীর গায়ে হাত তুলতেন সাগ্নিক।

পল্লবীর ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, আত্মহত্যার কারণেই মৃত্যু হয়েছে অভিনেত্রীর। জিজ্ঞাসাবাদের পর সাগ্নিককেও ছেড়ে দেয় পুলিশ।

রবিবার ‘মন মানে না’ ধারাবাহিকের শুট শেষ করে দাদির মৃত্যুবার্ষিকী পালন অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল পল্লবীর। সেভাবেই সব কিছু পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন অভিনেত্রী। তার এক ভাইকে বলেছিলেন, বিকেলের দিকে গাড়ি করে তাকে নিয়ে যেতে। কিন্তু তার আগেই ঘটে যায় এমন ঘটনা।

শনিবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে বেশ কয়েকটি স্টোরি পোস্ট করেছিলেন পল্লবী। দেখা গিয়েছিল, রাস্তার ধারে গরম মোমোর প্লেট হাতে ছবি দিয়েছিলেন তিনি। এর পরেই, রাতের কলকাতার রাস্তায় বিক্রি হওয়া হলুদ-গোলাপি হাওয়াই মিঠাইয়ের দিকেও এগিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেই মুহূর্তও লেন্সবন্দি করে ভাগ করে নিয়েছিলেন সকলের সঙ্গে।

পল্লবীর বন্ধু অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তী জানান, দিন দুয়েক আগে সমস্যা দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রী এবং সাগ্নিকের মধ্যে। এরপর মিটমাটও হয়ে যায়। একসঙ্গে নাকি নৈশভোজেও গিয়েছিলেন তারা। পল্লবীর ফ্ল্যাটের কেয়ারটেকার জানান, শনিবার রাতে সাগ্নিকের সঙ্গেই বাড়ি ফিরেছিলেন অভিনেত্রী।

পুলিশি তদন্ত থেকে জানা যায়, শনিবার রাত থেকেই দুজনের বচসা শুরু। রবিবার সকালেও থামেনি ঝামেলা। সাগ্নিক সিগারেট খেতে কিছুক্ষণের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। তখনই নাকি শোওয়ার ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন পল্লবী। ধাক্কা মেরে দরজা খুলে ঘর থেকে পল্লবীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন তার প্রেমিক। প্রায় দেড় বছর ধরে একত্রবাস করছিলেন তারা। গড়ফার ফ্ল্যাটে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে থাকছিলেন দুজন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/জিএসি-১৫


সূত্র : কালের কণ্ঠ