আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা ‌‘rase’ মিশনে কর্মরত সদস্যগন বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যে আত্মত্যাগ করেছেন তা স্বরণীয় করার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপি ২৯ মে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা দিবস পালন করে আসছে।

 


এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী ও পুলিশের যে সকল সদস্য জাতিসংঘের বিভিন্ন মিশনে দায়িত্ব পালনকালে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ কিংবা পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, তাদের সকলের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের নিমিত্তে সিলেট এরিয়া ও ১৭ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় রবিবার সিলেট সেনানিবাসে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস যথাযথ মর্যাদার সাথে উদযাপিত হয়।

 

উল্লেখ্য যে, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ১৯৪৮ সাল হতে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম শুরু হলেও বাংলাদেশ ১৯৮৮ সালের আগষ্ট মাস হতে আন্তর্জাতিক শান্তি প্রয়াসের সাথে সম্পৃক্ত হয়। বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে মোট ১৪ টি দেশে ৬ হাজার ৮২৫ জন সামরিক ও পুলিশ সদস্য নিয়োজিত আছেন। শান্তিরক্ষার এই সুমহান দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন সময়ে সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের সর্বমোট ১৬১ জন সদস্য জীবনোৎসর্গ করেছেন এবং ২৫২ জন্য সদস্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।

 

বিশ্ব শান্তি রক্ষায় অনবদ্য অবদানের কথা স্মরণ করে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও দিবসটি বিশেষ গুরুত্বের সাথে উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষে সকালে সিলেট সেনানিবাসে Peacekeeper's Commemoration অনুষ্ঠিত হয় যেখানে সিলেট এরিয়ার সামরিক সদস্যগণ ও পদস্থ অসামরিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব, স্থানীয় ইউএন প্রতিনিধিসহ অন্যান্য সংস্থার সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মেজর জেনারেল হামিদুল হক, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি, জিওসি, ১৭ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার সিলেট এরিয়া। 

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি কর্তৃক বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ করা হয়।

 

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বিশ্ব শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগ ও বীরত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, চৌত্রিশ বছর ধরে পেশাদারিত্ব, কর্তব্য নিষ্ঠা এবং অভিজ্ঞতার কারণে আজ বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীগণ বিশ্ব শান্তি রক্ষায় আদর্শ হিসাবে স্বীকৃত।

 

তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর দূরদর্শীতা, সংবিধানের দিক নির্দেশনা, মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুপ্রেরণা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে বিশ্ব শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে আমাদের শান্তিরক্ষীদের অবদান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ আমরা বিশ্বের শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণের ক্ষেত্রে সর্ববৃহৎ শান্তিরক্ষী বাহিনীর আসনে অধিষ্ঠিত। সেই সাথে সম্প্রতি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনের সদর দপ্তরে উচ্চ পর্যায়ের অফিসারদের অন্তর্ভুক্তি নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য আশা ব্যঞ্জক ও গৌরবের একটি বিষয়। বিশ্বের শান্তি রক্ষায় আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং সেনা, নৌ, বিমান ও পুলিশবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনী বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য সদা প্রস্তুত। ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/এসডি-০১