বন্যায় হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও এক পৌরসভার প্রায় ৬০ ভাগ এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

 


উপজেলার বড় ভাকৈর (পূর্ব) বড় ভাকৈর (পঞ্চিম), দীঘলবাক ও কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়ন এবং কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী কসবা, কসবা বাজার, রাধাপুর, ফাদুল্লাহ, দুর্গাপুর, মথুরাপুর, হোসেনপুর, মাধবপুর, পশ্চিম মাধবপুর, গালিমপুর এবং শাখা বরাক নদীর তীরবর্তী শেরপুর, পাঞ্জারাই, গুমগুমিয়া,মুক্তাহার ও সর্দারপুর।

 

কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের খইরা ও রমজানপুর সহ অধিকাংশ এলাকা নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে। বন্যা কবলিত এলাকার প্রধান সড়কসহ উপজেলা ও গ্রামীণ সড়কের ৬০ ভাগ ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে।

বন্যায় কবলিত হওয়ায় উপজেলার প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে সেখানে আশ্রয়ন শিবির স্থাপন করা হয়েছে।

 

নবীগঞ্জ উপজেলার ১৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্রে করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২ হাজার ১৮৫টি পরিবারের মানুষ এই আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় আশ্রিত পরিবারের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী সাইফুল ইসলাম বলেন, উপজেলার প্রায় ৬০ ভাগ এলাকা বন্যা কবলিত হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়গুলো শিশুদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বন্ধ রাখা হয়েছে। উপজেলায় স্কুল ও কলেজ মিলিয়ে প্রায় ১৫০টি প্রতিষ্ঠানে পাঠদান সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলে পুনরায় বিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হবে।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/এসবিডি/এসডি-০৭