অব্যাহত বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বন্যায় আনহার মিয়া (২৭) নামের এক ফলব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।

 


সোমবার ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার তিনি জগন্নাথপুর সদর বাজার থেকে খোলা নৌকা যোগে নিজ উপজেলার এরালিয়া গ্রামে যাচ্ছিল। ওই সময় বন্যার ঢলে এরালিয়া সড়ক এলাকায় নৌকা ডুবে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের দুইদিন পর তাঁর লাশ উদ্ধার করেছেন তাঁর স্বজনরা।

 

মৃত ওই ব্যবসায়ীর বড় ভাই আক্তার হোসেন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এদিকে গত রবিবার থেকে ধীরে ধীরে পানি কমলেও পানিবন্ধি মানুষ চরম দূর্ভোগে রয়েছেন।

 

শুক্রবার রাত থেকে জগন্নাথপুর পৌরসভাসহ উপজেলাজুড়ে বন্যার ভয়াবহ রূপ নেয়। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ সংযোগ।

 

সিলেটের বিভাগীয় শহরের সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান সড়ক জগন্নাথপুর-সিলেট সড়ক, জগন্নাথপুর-সুনামগঞ্জসহ জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের সঙ্গে যাতায়াতের সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। পৌরশহরের প্রধান ব্যবসাকেন্দ্র, জগন্নাথপুর বাজার, উপজেলা পরিষদ, এসিল্যান্ড অফিসসহ গুরুত্বপূর্ণ সেবাকেন্দ্রগুলোতেও পানিতে নিমজ্জিত। এছাড়া উপজেলার সকল রাস্তাঘাট ডুবেছে পানিতে।


সরেজমিন কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে উপচেপড়া ভীড়। এসব কেন্দ্র গত তিনদিন ধরে সরকারী কোন ত্রাণ সহায়তা পৌঁছেনি। ফলে মানুষের মধ্যে ত্রানের জন্য হাহাকার চলছে।

 

উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, আমাদের পুরো উপজেলার মানুষ বন্যায় বিপর্যস্ত। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণের জন্য আহাজারি চলছে। মানুষ কাঁদছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ও মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট না থাকায় অচল হয়ে আছি আমরা। কে কোথায় আছে তাও নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। এরমধ্যে ডাকাত আতঙ্গে চোখে ঘুম নেই মানুষের। প্রতি দিনই ডাকাতদের সাথে যুদ্ধ করে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন বন্যা আক্রান্ত মানুষ।

 

জগন্নাথপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বলেন, পানিবন্দি মানুষের জন্য আশ্রমকেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিতে আমরা তৎপর সাধ্যমত চেষ্টা করছি।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/এসএইচএস/এসডি-৪৬