ইউরোপ চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নদের লড়াই, এতে জেতা মানে তো অনেক বড় অর্জন। আর্জেন্টাইন সমর্থকরা তাই ইতালির বিপক্ষে ‘ফাইনালিসিমা’ জয় নিয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত।

 


উচ্ছ্বসিত হবার যথেষ্ট কারণও আছে। দীর্ঘ ২৮ বছর বড় কোনো আন্তর্জাতিক ট্রফি জিততে না পারা আর্জেন্টাইনরা এক বছরের মধ্যে দুটি শিরোপা হাতে নিয়েছে। কোপা আমেরিকার পর জিতেছে ফাইনালিসিমা।

 

বিশ্ব ফুটবলের জাদুকর লিওনেল মেসিরও শিরোপার আক্ষেপ ঘুচেছে তাতে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতোই মেসিরও এখন আছে দুটি আন্তর্জাতিক ট্রফি। এমন সাফল্যের জন্য কত বছর ধরেই না অপেক্ষা করছিল আলবিসেলেস্তেরা!

তাই ফাইনালিসিমা জয় বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের কাছে। যদিও ফিফা এই ম্যাচটিকে দেখছে অন্যভাবে। সম্প্রতি প্রকাশিত ফিফার র‌্যাংকিংয়ে যেমনটা দেখা যাচ্ছে, তাতে ‘ফাইনালিসিমা’কে আর দশটা সাধারণ প্রীতি ম্যাচের মতোই মূল্যায়ন করছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

 

চলতি বছরের জুনে দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে ফিফা র‌্যাংকিংয়ে সেরা তিনে উঠে এসেছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। মার্চের ফিফা উইন্ডো শেষে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে আর্জেন্টিনার অবস্থান ছিল ৪র্থ।

চলতি মাসে ইতালিকে ফাইনালিসিমায় ৩-০ গোলে হারায় আলবিসেলেস্তেরা। এরপর মেসির পাঁচ গোলের সুবাদে এস্তোনিয়াকে হারায় ৫-০ ব্যবধানে। তাতেই এক ধাপ এগিয়েছে দলটি।

কিন্তু র‌্যাংকিংয়ে দেখা যাচ্ছে, এই দুই ম্যাচে জয়ে ১০ করে মোট ২০ পয়েন্ট পেয়েছে আর্জেন্টিনা। তার মানে এল সাদরে এস্তোনিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের জয়কে যেমন মূল্যায়ন করেছে ফিফা, তার ঠিক সমানই তারা ধরেছে ওয়েম্বলিতে ইতালির বিপক্ষে ফাইনালিসিমা জয়কেও।

 

অথচ ফুটবল বিশ্লেষকদের অনেকেরই ধারণা ছিল, ইতালির বিপক্ষে ফাইনালিসিমা জয়ে ৪০ পয়েন্ট পাবে আর্জেন্টিনা। কেননা এর আগে বিলুপ্ত কনফেডারেশন্স কাপের মতো আসরে জিতলে ৪০ পয়েন্ট করে পেতো দলগুলো। সেই টুর্নামেন্টকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে গণনা করতো ফিফা, যেটি কিনা ফাইনালিসিমার বেলায় করেনি।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-২২


সূত্র : জাগোনিউজ