সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের একমাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ও এক সময়ের তুখোড় ফুটবলার উস্তার আলী। সুরমার ভাঙনে যে কোনো মূহুর্তে নদীগর্ভে তলিয়ে যেতে পারে তার বসতভিটাসহ গ্রামের মসজিদ ও অনেকের ঘরবাড়ি।

 


শুক্রবার সিলেটস্থ দোয়ারাবাজার সমিতির প্রতিনিধি দল ছুটে যান একই ইউনিয়নের পুটিপশি গ্রামে।

সাম্প্রতিক ভয়াল বন্যাসহ প্রাকৃতিক দূর্যোগে সরকারি তথ্য মতে দোয়ারাবাজার উপজেলায় ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটে। ওই গ্রামে নিজ বসতভিটায় পানিতে ডুবে মারা যাওয়া খুশিরানী দাস তাদের একজন। ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ওইদিন মৃত খুশিরানীর পরিবারকে নগদ ৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন ওই সমিতির নেতৃবৃন্দ।

পরে ভাঙন কবলিত বীর মুক্তিযোদ্ধা উস্তার আলীর বাড়িসহ নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন সমিতির নেতৃবৃন্দ।

 

এদিকে শনিবার দোয়ারাবাজারে বিভিন্ন স্থানে সুরমা নদীর ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী বীর প্রতিক, বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালেহা বেগম, সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট চাঁন মিয়া, সিলেটস্থ দোয়ারাবাজার সমিতির সভাপতি ও দি এইডেড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শমশের আলী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছায়াদ আহমদ, অ্যাডভোকেট আকমল খান, ফেঞ্চুগঞ্জ কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ফরিদ উদ্দিন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী রেজিষ্টার্ড সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ছায়াদ মিয়া, অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ, দোয়ারাবাজার সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক শের মাহমুদ ভূইয়া, জালাল পুর লতিফিয়া দাখিল মাদরাসার সভাপতি নুর উদ্দিন, সুপার কাজী মাওলানা মাহমুদুর রহমান আজাদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন, সাহাজ উদ্দিনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

 

পরিদর্শন শেষে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালেহা বেগম বলেন, আগামি উপজেলা সমন্বয় সভায় আমি বিষয়টি উত্তাপন করব যাতে জালালপুর গ্রাম ও কাটাখালী মিতালী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়কে নদী ড্রেজিংয়ের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রয়োজনে এব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক ও অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী বীর প্রতিকের সাথে আলোচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/টিআই/এসডি-২৪