হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে রেলওয়ের জায়গা দখল করার অভিযোগে সাবেক কাউন্সিলরসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সাবেক কাউন্সিলর ছাড়াও রয়েছে রেলওয়ের এক কর্মচারী। দিনভর নাটকীয়তার পর অবশেষে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে সোমবার বিকেলে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। পরে আদালত তাদেরকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এ নিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ জেলাজুড়ে বইছে নানান আলোচনা সমালোচনা। 

 


জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে রেল কর্মচারী নজির আলী জেলার শায়েস্তাগঞ্জ, সাটিয়াজুরী, হবিগঞ্জ, নোয়াপাড়া, বাল্লাসহ বিভিন্ন এলাকায় রেলের জায়গা ভ‚য়া কাগজপত্র তৈরি করে মানুষকে লিজ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আর তাকে সহযোগিতা করছে আশেপাশ এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলায় হলেও শায়েস্তাগঞ্জ জগন্নাথপুর গ্রামে বিয়ে করে স্টেশনে বসবাস করছে। প্রথমে সে বাবুর্চি হিসেবে চাকুরী নিলেও বর্তমানে পাম্প অপারেটর হিসেবে কর্মরত রয়েছে। আর এভাবেই শুরু হয় তার আধিপত্য বিস্তার। 

 

সোমবার সকালে রেলের জায়গায় অবস্থিত উচ্ছেদকৃত পৌর মার্কেট পুণঃরায় দখল করে দোকান নির্মাণ করে সাবেক কাউন্সিলর সাইদুর রহমান, সোহেল, পাম্প অপারেটর নজির আলীসহ বেশ কয়েকজন। বিষয়টি শায়েস্তাগঞ্জ থানাকে অবগত করলে ওসি অজয় দেবের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাইদুর, সোহেল ও নজির আলীকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। পরে দিনভর বিষয়টি নিয়ে রফাদফার চেষ্টা চলে। এরই মধ্যে খবর পৌঁছে যায় ঢাকা রেলওয়ের স্টেট অফিসে। সেখান থেকে বিকালে স্টেট অফিসার রহুল আমিনসহ একদল রেল কর্মকর্তা শায়েস্তাগঞ্জ থানায় এসে উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে রেলের জায়গা জালিয়াতি করে অন্যত্র লিজ দেয়ার অভিযোগে মামলা করেন। 

 

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানার (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব জানান, তাদের বিরুদ্ধে রেল কর্মকর্তা রুহুল আমিন বাদি হয়ে মামলা করেছেন। মামলার প্রেক্ষিতে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে রহস্য উদ্ধার করা হবে। এ ছাড়াও মামলার অন্যান্য আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/জাচৌ/ইআ