সিলেট সিটি করপোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চৌকিদেখি এলাকার রাস্তায় কোরবানীর পশুর হাট বসেছে। এরআগে সিসিক মেয়র বলেছিলেন কোনো অবস্থাতে রাস্তায় পশুর হাট বসানো হবে না। মেয়রের এমন মন্তব্যের পরই ওই এলাকার রুপসা আবাসিক এলাকায় পশুর হাটের প্যান্ডেল তৈরি করায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলেছেন- আমরা জনস্বার্থে রাস্তায় পশুর হাট না বসাতে প্রশাসনের নিকট আবেদন করি। এ ব্যাপারে প্রশাসনের ব্যবস্থা আমাদের চোখে পরে নি। জনস্বার্থে আমাদের আবেদনের পরই রাস্তায় পশুর হাট বসলো। এতে আমরা হতাশ ও বাকরুদ্ধ। 

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) রাতে রূপসা আবাসিক এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ওই আবাসিক এলাকার গলিতে পশুর হাট বসানোর জন্য প্যান্ডেল ও যাবতীয় সরঞ্জাম প্রস্তুত করা হচ্ছে। কোনোরকম এ গলির ভেতরে প্রবেশ করা যায়। তবে হাট বসলে জনসমাগমের  ও পশুর কারণে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করা মুশকিল হয়ে যাবে। এমনকি অপ্রত্যাশিত অগ্নিকাণ্ড বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে এ রাস্তা দিয়ে কোনো ধরনের যান চলাচল করতে পারবে না। এছাড়া হাট পুরোদমে বসলে আম্বরখানা-এয়ারপোর্ট রোডে চলে যাবে পশুর হাটের বাজার। ফলে বিমানবন্দরগামী যাত্রীরা যানজট ও নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার হবেন। ফলে জনপ্রতিবন্ধকতা রোধে দ্রুত এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সিন্ধান্ত নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।


স্থানীয় আবদুল হকসহ কয়েকজন বলেন, সড়ক ব্যতিত অন্য কোথাও পশুর হাট বসানো হোক। আমাদের চলাচল করতে সংশ্লিষ্টদের বিকল্প চিন্তা করলে আমাদের জন্য ভালো হয়। আমরা আশাকরি সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে সঠিক ও জনস্বার্থে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন।

এ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম বলেন, চৌকিদেখি নামক পয়েন্ট আমার এলাকায় নাই। এখানে কোনো মাঠও নেই। কিন্তু কোথায় পশুর হাট বসানো হবে জানি না। তবে রুপসা আবাসিক এলাকার লোকজন জানিয়েছেন ওই এলাকার গলিতে পশুর হাট বসানোর প্যান্ডেল সহ যাবতীয় কার্যক্রম সেরে ফেলেছেন ইজারাদার। তারা আরও বলেন, পশুর হাট বসানোর সার্বিক কাজের কারণে ওই এলাকায় যাতায়াতের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমি এখন বাইরে আছি। ফলে এখনো যেখানে হাট বসেছে সেখানে যেতে পারি নাই।’

এ ব্যাপারে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানের মোবাইলে কয়েকবার কল করা হলে তারা ফোন রিসিভ করেন নি।

তবে এ বিষয়ে কথা হয় সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. নিশারুল আরিফের সঙ্গে। মুঠোফোনে তিনি বলেন, সড়ক বা মহাসড়কে পশুর হাট না বসাতে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। জনপ্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে দেব না। কেউ সমস্যার সম্মুখীন হলে আমাদের উপর দোষ বর্তায়। আমরা চাই না পুলিশকে কেউ গালিগালাজ করুক।

তিনি আরও বলেন, সমন্বয় সভায় রাস্তায় পশুর হাট বসানোর অনুমোদন না দিতে সিসিক ও জেলা প্রশাসনের কাছে জানিয়েছি। তারা অনুমোদন দিয়েছেন। আমরা তো জানি না কোথায় খালি জায়গা আছে। তবে আমি এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/পিডি