জুড়ী তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফখর উদ্দিন আহমদ বলেছেন, ১৯৯৪ সালে জুড়ীতে এ কলেজ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে জুড়ীতে শিক্ষা ও সংস্কৃতির মনোরম পরিবেশ গড়ে উঠে ছিল। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা এম এ মুমিত আসুকের নেতৃত্বে কলেজ ছাড়াও জুড়ী উচ্চ বিদ্যালয় ও মক্তদীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সমন্বয়ে টিম ওয়ার্ক হতো। এর প্রভাব জুড়ীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তো। যে কারনে জুড়ী কোন থানা বা উপজেলা না হওয়া সত্ত্বেও এখানে শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিশাল বলয় তৈরি হয়েছিল। কিন্তু উপজেলা হওয়ার পর সে ধারা অব্যাহত না থাকায় আমরা অনেকটা পিছিয়েছি। অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা ও সংস্কৃতির সে ধারা এগিয়ে নিতে হলে দল-মতের উপরে উঠে সকলকে এক যোগে কাজ করতে হবে। এ জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, অভিভাবক, সুশীল সমাজ সবাই ঐকবদ্ধ হতে হবে।


মঙ্গলবার রাতে জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে জুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে তাকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য রাখেন।


 

তিনি বলেন- সাংবাদিকতা ঝুঁকিপূর্ন পেশা। বাংলাদেশসহ বিশ্বের নামকরা বহু সাংবাদিক পেশাগত কাজে গিয়ে আহত-নিহত হচ্ছেন। তবুও তারা সমাজের মূল টিত্র জনসম্মূখে তুলে ধরছেন।
একই কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপিকা, যুক্তরাজ্য প্রবাসী সংবর্ধিত সেলিনা বেগম বলেন- দীর্ঘ ১৪ বছর পর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরে জুড়ীবাসীর ভালোবাসায় আমরা শিক্ত, আপ্লুত। এর ঋন শোধ হবার নয়।


প্রেস ক্লাব সভাপতি সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. তাজুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্টিত সংবর্ধনা অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জুড়ী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস।


বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাছুম রেজা, জুড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান, জায়ফরনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির দ্বারা, গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক উপপরিচালক মুজিবুর রহমান,  মক্তদীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসহাক আলী, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, ইমরুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, জুড়ী উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি, জুড়ী উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ, সিকন্দর মাহমুদা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিন, জাতীয় পার্টি নেতা আনোয়ারুল হক আনু, বদরুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য মিলাদ চৌধুরী, বিএনপি নেতা আব্দুল গনি, ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা। 


স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরে আলম লাল। বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক কামরুল হাসান নোমান।


প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক এম রাজু আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক বেলাল হোসাইন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শামীম আহমদ, সদস্য মো. শাহ আলম, আল আমিন আহমদ, সংবাদকর্মী সালমান আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/মআলা/ইআ