অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার হয় দেশে। অতিপ্রয়োগ ও অতিব্যবহারের ফলে অ্যান্টিবায়োটিক তার কার্যকারিতা হাচ্ছে। সংক্রামক ব্যাধির জীবাণুগুলো হয়ে ওঠছে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের জন্য এটি বড় এক সংকট বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এই সংকটকে ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স’ বলা হয়। বৈশ্বিক এই সংকট থেকে মুক্ত নয় বাংলাদেশও।

এক বিশ্লেষণী প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয় ময়মনসিংহ বিভাগে। আর সবচেয়ে কম ব্যবহার হয় সিলেট বিভাগে।


স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে এমন তথ্য। ‘সিচুয়েশন অ্যানালাইসিস অব ইউজ অব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালস অ্যামং অ্যালোপ্যাথিক প্র্যাকটিশনার্স ইন বাংলাদেশ: আ সেকেন্ডারি অ্যানালাইসিস’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়।

স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের তথ্য অনুসারে, ময়মনসিংহ বিভাগে ৮৩ শতাংশ রোগী অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করেন, যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।

অন্যদিকে, সিলেট বিভাগে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার ৭৩ শতাংশ। দেশের মধ্যে যা সর্বনিম্ন হলেও বিশেষজ্ঞরা এটিকে আশঙ্কাজনক বলছেন।

এ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার খুলনা বিভাগে ৮১ শতাংশ, চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগে ৭৯ শতাংশ করে, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগে ৭৮ শতাংশ করে এবং রাজশাহী বিভাগে ৭৪ শতাংশ।

এদিকে, দেশের মধ্যে সিলেট বিভাগে সবচেয়ে বেশি প্রয়োগ হয় অ্যান্টিপ্যারাসাইটিকের। রাজশাহী বিভাগে অ্যান্টিভাইরাল এবং রাজশাহী ও রংপুরে অ্যান্টিফাঙ্গাল সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।

Sylhetview24.com/RiK