মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে আকস্মিকভাবে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে সকল শ্রেণি পেশার মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

 


একইভাবে বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় বিপাকে সাধারণ মানুষ।

 

৩শ’ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ। তবে ২৮০ টাকায় মিলছে আমদানীকৃত হাইব্রিড কাঁচা মরিচ।

 

শনিবার উপজেলার বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

কমলগঞ্জের মোটরসাইকেল আরোহী মো. শুভ, ফটিকুল ইসলাম, মোক্তার মিয়া, মোদি ব্যবসায়ী সহিদুল ইসলাম, শিক্ষক জমশেদ আলী, পেশাজীবি জয়নাল আবেদীন, নূরুল মোহাইমীন মিল্টন, কৃষক ইসলাম উদ্দীন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হঠ্যাৎ করে অস্বাভাবিকহারে সকল প্রকার জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধি কোনমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। এমনিতেই করোনা পরবর্তী জিনিসপত্রের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিতে সবাই কোনঠাসা। বেঁচে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে। তার উপর জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির বড় ধরণের প্রভাব পড়বে সকল ক্ষেত্রে।

 

দাম সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার দাবি জানান তারা। 

হাটবাজারে কাঁচা মরিচের দামও নাগালের বাইরে। 

কাঁচামরিচ কিনতে আসা ক্রেতা রমিজ উদ্দিন, আরশাদ মিয়া ও রহমান মিয়া জানান, গত সপ্তাহে প্রতি ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ কিনেছি ৩০ টাকায়। আর আজ হঠাৎ করেই তা ৭৫ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে।

 

তবে হাটবাজারে কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে খুচরা কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা জানান, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ার কারনে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কাঁচা মরিচের দাম খুব কম সময়ের মধ্যেই কমে যাবে।

 

ভানুগাছ কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী ভুষন রায় জানান, আড়তে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কম হওয়ার কারনে বেশী দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে আমরাও বেশী দামে বিক্রি করছি।

 

এদিকে কাঁচা মরিচের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচা শাক সবজির দাম ও বেড়েই চলেছে। যার কারনে নিম্ন আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে লোকমুখে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সর্বত্র একই আলোচনা এটি মেনে নেয়া যায় না। গরিবদের মেরে ফেলার কৌশলসহ নানা মজার মজার পোস্টা ফেসবুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/জেএ/এসডি-০৭