সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মুরারিচাঁদ কলেজে (এমসি কলেজ) "বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের শিক্ষা ব্যবস্হাপনা" বিষয়ক সেমিনার রোববার (৭ আগস্ট) দুপুরে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুক্তরাজ্যের আবসক্রস একাডেমী এন্ড কলেজের শিক্ষক জামাল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্হায় যে কারীকুলাম রয়েছে তা বৃটিশ সমমানের।কিন্তু যুক্তরাজ্যের শিক্ষার্থীরা ইংরেজিতে অত্যন্ত দক্ষ।তুলনামূলকভাবে এখানকার শিক্ষার্থীরা ইংরেজিতে অনেকটাই দুর্বল।আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে অবশ্যই ইংরেজি শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।ক্লাশে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়াতে হবে।


মুরারিচাঁদ কলেজের ফিজিক্স ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মুহাম্মদ আলাউদ্দিন খান।

পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুসাদ্দেক হোসেন খানের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন,সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক পরাগ কান্তি,পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. তৌফিক এজদানী চৌধুরী,সিলেট সরকারি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসিমা হক খান।

অন্যান্যের মধ্যে জৈন্তাপুর ইমরান আহমদ কলেজের সহকারী অধ্যাপক নুরুন্নবী জুয়েল, কোম্পানীগঞ্জ এম. সাইফুর রহমান কলেজের সহকারী অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন প্রমুখ বক্তব্য দেন।শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন, মুরারিচাঁদ কলেজের ফিজিক্স ক্লাবের সভাপতি শামসুল আহমেদ সাঈম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুরারিচাঁদ কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক ছাত্র ও শিক্ষক জামাল আহমেদ আরও বলেন, একদিন এই বিভাগ থেকে পড়াশোনা করে মাস্টার্স পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি লাভ করে বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে এই বিভাগেই শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছিলাম।বিলেতে উচ্চ শিক্ষা লাভ করে যুক্তরাজ্যের মেইন ষ্ট্রীমের কলেজে শিক্ষকতা করছি।যুক্তরাজ্যে উচ্চ শিক্ষায় পড়াশোনার ক্ষেত্রে ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা বাধ্যতামুলক।বর্তমানে স্টুডেন্ট ভিসায় সেখানে গিয়ে পার্ট টাইম কাজের পাশাপাশি পড়াশোনা শেষে স্থায়িত্ব লাভের সুযোগ উন্মুক্ত রয়েছে।তিনি পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্লাশরুমে উপস্থিতি বাড়ানো ও পড়ালেখায় আরও মনোযোগী হওয়ার আহবান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক পরাগ কান্তি বলেন,শিক্ষার পরিবেশ সুন্দর করার পাশাপাশি শিক্ষার কোয়ালিটির দিকে নজর দিতে হবে।আন্ডার মার্ক যেমন অবিচার তেমনি ওভার মার্কও অবিচার।শিক্ষার্থীদেরকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যেন তারা সবজায়গায় সমানভাবে কাজ করতে পারে। 

সহযোগী অধ্যাপক মো. তৌফিক এজদানী চৌধুরী বলেন,সাম্প্রতিক বন্যায় আমাদের কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।শিক্ষার্থীদেরকে মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। 

সভাপতির বক্তব্যে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মুহাম্মদ আলাউদ্দিন খান বলেন,এই কলেজের শিক্ষার্থীরা দেশে-বিদেশে  সুনামের সাথে কাজ করছে।অনেক জায়গায় নেতৃত্বের আসনে রয়েছে।জামাল আহমেদ তেমনি এক একজন।তিনি কলেজের ঐতিহ্য ধরে রেখে শিক্ষার্থীদেরকে আরও ভালো রেজাল্ট করার আহবান জানান।

সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডি.আর