জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ‘তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি’ সিলেট জেলার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 


বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিকেল ৫ টায় সিলেট কোর্ট পয়েন্টে জাতীয় কমিটির সিলেট জেলা সভাপতি ব্যরিষ্টার আরশ আলীর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

 

জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব এডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমন এর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক কমরেড ধীরেণ সিংহ, সিপিবি জেলা সভাপতি সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা আহবায়ক উজ্জ্বল রায়, বাসদ জেলা সমন্বয়ক আবু জাফর, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি সিকান্দার আলী, জাসদ জেলা সাধারণ সম্পাদক কে.এ. কিবরিয়া, সাম্যবাদী আন্দোলনের জেলা আহবায়ক সুশান্ত সিনহা সুমন, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) জেলা সাধারণ সম্পাদক হরিধন দাস, গণতন্ত্রী পার্টির মহানগর সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কপালী প্রমুখ।

 

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- সিপিবি জেলা সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাছান, গনতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক জুনেদুর রহমান, সাম্যবাদী দল সিলেট জেলার সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য দীনবন্ধু পাল, বাসদ জেলা সদস্য প্রণব জ্যোতি পাল, সম্যবাদী আন্দোলন জেলা সদস্য এডভোকেট রনেন সরকার রনি, গনতন্ত্রী পার্টির দপ্তর সম্পাদক আজিজুর রহমান খোকন, উদীচী জেলা সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল মিন্টু প্রমুখ।

 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, জ্বালানী তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি গণবিরোধী ও স্বৈরাচারি সরকারের একতরফা সিদ্ধান্ত। সরকার আইএমএফ এর পরামর্শে নিজেদের দূর্নীতি-লুটপাট ও সীমাহীন কারচুপির সকল বোঝা আজকে চাপিয়ে দিচ্ছে জনগণের উপর।

 

নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্বাবাজারে যখন তেলের দাম নিম্নমূখী, সে সময়ে সরকারের এই সিদ্ধান্ত জনগণের জীবন-জীবিকার সংকটকে আরো বেশী কষ্টকর করে তুলবে। শিল্প, কৃষি, পরিবহণ থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রেই জ্বালানী তেলের প্রভাব পড়বে। জনজীবনে চরম দূর্দশা নেমে আসবে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গত ৬ মাসে বিপিসি জ্বালানী তেল বিক্রি করে ৮ হাজার কোটি টাকা লোকসান করেছে। কিন্তু বিগত সময়ে বিশ্ববাজারের যখন তেলের দাম কম ছিলো তখন তেল বিক্রি করে সরকার ৪৭ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে। তা দিয়েই এই ঘাটতি পূরণ করা যেত। কিন্তু সরকার সেই পথে না হেটে জনগণের উপর এই বাড়তি মূল্য চাপিয়ে দিয়েছে।

 

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সরকারকে এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহবান জানান এবং এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে হরতাল-অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন।

নেতৃবৃন্দ জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঢাকায় প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন সমূহের কর্মসূচিতে পুলিশী হামলার নিন্দা জানান এবং ছাত নেতৃত্বের উপর পুলিশের মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি জানান।

 

সমাবেশ শেষে কোর্ট পয়েন্ট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সামনে গিয়ে শেষ হয়।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/এসডি-২৫