পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি স্তরে নারী যেন পুরুষের অনুকম্পা নিয়ে বাঁচে। পুরুষ যেন হয়ে উঠে নারীর সুরক্ষার ঢাল। কিন্তু এমন বাস্তবতা মানতে নারাজ টলিউডের চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। রাখিবন্ধন উৎসবের দিনে এ নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করছেন তিনি।

 


ঋতাভরীর মায়ের পেটের কোনো ভাই নেই। মা শতরূপা সান্যাল আর দিদি চিত্রাঙ্গদাকে নিয়েই তার দুনিয়া। ভালো-মন্দ যে কোনো সময়ে মা কিংবা বোনকেই পাশে পেয়েছেন তিনি। তাইতো নারীর দেখভালে শুধু পুরুষ, তা মানতে নারাজ অভিনেত্রী।

 

তার কথায়, আমাদের সমাজে বাবার পর মেয়েদের ভাত-কাপড়ের দায়িত্ব নেয় স্বামীরা। মেয়েদের সুরক্ষার জন্যও দরকার একটা ভাই কিংবা স্বামীর। আমি কখনোই বিষয়টিকে ছোট করছি না৷ কিন্তু আমার মনে হয় কাউকে সুরক্ষা করতে গেলে শুধুমাত্র পুরুষদের কথা উঠে আসবে, সেটা ঠিক নয়।

 

অভিনেত্রী বলেন, আমার দিদিকে আমি তিতিন বলে ডাকি। ছোট থেকেই মারপিট করে বড় হয়েছি। ওর জন্মদিনে ওর প্রিয় জিনিসটা আমিই কিনে আনি। আবার আমার শরীর খারাপ হলে তিতিনই সবার প্রথম ছুটে আসে। আমার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে নেয়। ছোট থেকে একা হাতে মা আমাদের দুই বোনকে বড় করেছেন।

 

নিজের কোনো ভাই নেই, তাতে কি! বরাবরের মতো এবারও দুই বোনে রাখিবন্ধন উৎসব উদযাপন করেছেন। ভাইফোঁটাতেও তা-ই করেন।

তাইতো রাখিবন্ধন উৎসবে নায়িকার বার্তা, শুধু ভাই নয়, নিজেদের কাছের মানুষ, ভালবাসার মানুষকে রক্ষা করা প্রত্যেকের দায়িত্ব।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-০৫


সূত্র : জাগোনিউজ