(প্রতীকী ছবি)

সিলেটে খাবারের সঙ্গে ঘুমের বা চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে একটি বাসার দুটি ইউনিটে চুরির ঘটনা ঘটেছে। ওষুধ খাওয়ানোর ফলে দুই পরিবারের ৮ সদস্য অসুস্থ হয়ে বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। শনিবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় তারা বাসায় ফিরেছেন। 

সিলেট মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানাধীন সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কের মুখে অবস্থিত ‘সিলেট ক্লাব’র পেছনের বাসায় শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে। 


অসুস্থদের মধ্যে একজন সুলতানা বেগম (২৮)। তিনি সিলেটে একটি বেরসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মে চাকরি করেন। তিনিও ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

সুলতানা বেগম শনিবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে সিলেটভিউ-কে জানান, ‘সিলেট ক্লাব’র পেছনের টিনশেডের একতলা বাসায় তারা দুটি পরিবার ভাড়া থাকেন। শুক্রবার রাতে দুই পরিবারের সদস্যরা রাতের খাবার খেয়ে নিজ নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। তবে সুলতানার ভাই সাহেদ আহমদ রাতে অন্যত্র খেয়ে আসায় বাসায় রাতের খাবার খাননি। সাহেদ প্রায় পুরো রাতই জেগে ছিলেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে পাশের কক্ষ থেকে মা-বোনের চিৎকারে তিনি দৌঁড়ে গিয়ে দেখেন- ওই কক্ষের জানালার এক অংশ খোলা। এসময় সাহেদের মা সাহেদকে বলেন- জানালার কপাট খোলার শব্দে তার ঘুম ভেঙে গেলেও তিনি চোখে ঝাপসা দেখছিলেন এবং কয়েক বার বমি করেন। তাই চিৎকার করে ছেলেকে ডাকেন। 

সাহেদ এসময় মা-বোনসহ তার পরিবারের ৩ জনকে অসুস্থ দেখতে পান। এসময় পাশের ইউনিটের লোকজনকে ডাকতে গিয়ে তাদেরও একই অবস্থা দেখতে পেয়ে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে ভোর ৫টার দিকে অসুস্থ সবাইকে নিয়ে গিয়ে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করেন। 

সুলতানা বেগম আরও জানান, তাদের দুই পরিবারের মোট ৮ জন অসুস্থ। 

সুলতানার ভাই সাহেদ আহমদ সিলেটভিউ-কে জানান, তাদের রান্নাঘরের জানালার নেটের কিছু অংশ কাটা। জানালার পাশেই চুলায় ভাত-তরকারি  রান্না করা হয়। শনিবার সকালে সাহেদ দেখেন- ওইখানে সাদা রঙের গুড়ো ছড়ানো। ভাতের সঙ্গে কেউ ঘুমের বা চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়েছে বলে সাহেদের মন্তব্য।

তিনি বলেন, অসুস্থদের চিকিৎসা প্রদানের ব্যস্ততায় এ বিষয়ে এখনও থানায় লিখিত অভিযোগ বা মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি। হাসপাতালের ব্যস্ততা শেষে মামলা দায়ের করবেন। তবে এয়ারপোর্ট থানাপুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ওসমানী হাসপাতালে গিয়ে সুস্থদের কাছ থেকে ঘটনা সম্পর্কে জেনেছে।

সাহেদ আরও জানান, তাদের বাসার কিছু চুরি না হলেও পাশের ইউনিটের খাবার কক্ষের জানালার গ্রিল কেটে বাসায় ঢুকে মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে চোরেরা। 

এ বিষয়ে জানতে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকিরকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। 

এ বিষয়ে অবগত নয় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া শাখাও। এসএমপি’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের সিলেটভিউ-কে বলেন- এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানা থেকে এখনও আমাকে কিছু জানানো হয়নি।


সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডালিম