উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরে স্থাপিত দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ। সিলেট জেলার ১৪টি উপজেলা মডেল মসজিদের মধ্যে গোয়াইনঘাট মডেল মসজিদ অন্যতম। গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরের সাবেক গোয়াইনঘাট  কেন্দ্রীয় মসজিদের জমিতে স্থাপিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন এ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। উক্ত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

 


সংশ্লিষ্টরা জানান, এই মসজিদে প্রায় ৯শ’ মুসল্লি এক সাথে জামাতে নামাজ আদায় করতে পারবেন। বর্তমানে ধোয়া-মোছার কাজ চলছে। প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি'র ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও ধর্ম মন্ত্রণালয় ১২ কোটি ৯৭ লক্ষ ২১ হাজার টাকা ব্যয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরে নির্মাণ করেছে  মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রেটি  তিন তলা ভিত বিশিষ্ট। তিন তলা ভবনের নির্মাণ কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। মসজিদটির নির্মাণ কাজ দ্রুত ও মানসম্পন্নভাবে শেষ করার লক্ষ্যে একাধিক বার পরিদর্শন করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি। প্রায় ৪৩ শতক (১৮,৭০০ বর্গফুট) ভূমির উপর নির্মিত উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নিচ তলায় ১৫ হাজার বর্গফুটে রয়েছে ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ডাইনিং রুম, প্রতিবন্ধী কর্ণার, মরদেহ গোসলের কক্ষ, জেনারেটর রুম, অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য নামাজ কক্ষ, কার পার্কিং, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বুক সেলস সেন্টার ও ওজুখানা।


২য় তলায় মূল নামাজ কক্ষ, কনফারেন্স রুম, ওজুখানা, টয়লেট, উপ-পরিচালকের কক্ষ, হিসাব কক্ষ। ৩য় তলায় পুরুষ ও মহিলাদের পৃথক পৃথক নামাজ কক্ষ, মক্তব কক্ষ, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, ইমাম, মোয়াজ্জিন, খাদেম, শিক্ষক ও সাধারণ কর্মচারীদের কক্ষ, অতিথি কক্ষ। এছাড়াও মেহেরাব, সিড়ি ও একটি সুউচ্চ দৃষ্টি নন্দন মিনার রয়েছে।

 


 প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে গণপূর্ত বিভাগ। গোয়াইনঘাট উপজেলা মডেল মসজিদটি উদ্বোধন হলে এলাকার মুসল্লিরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে আদায়ের পাশাপাশি ইসলামী জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। এব্যাপারে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি বলেন, সারা দেশের জেলা, উপজেলা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে সরকার। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে আট হাজার ৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯ লাখ ৯০ হাজার ৩৬ বর্গমিটার আয়তনের নির্মিতব্য এসব মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রতিটির নির্মাণ ব্যয় অন্তত ১২ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ কোটি টাকা। এসব মসজিদে প্রতিদিন চার লাখ ৪০ হাজার ৪৪০ জন পুরুষ ও ৩১ হাজার ৪০০ জন নারীর নামাজ পড়ার সুবিধা থাকবে। পবিত্র কোরআন হাদিসের জ্ঞান অর্জনের জন্য এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ৩৪ হাজার মানুষ লাইব্রেরিতে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। প্রতিদিন ৬ হাজার ৮০০ জন গবেষকের গবেষণার সুযোগ, ৫৬ হাজার মুসল্লির দ্বীনি দাওয়াতের কার্যক্রম পরিচালনা, প্রতিবছর ১৪ হাজার শিক্ষার্থীর কোরআন হেফজ করার সুবিধা, প্রতিবছর ১৬ হাজার ৮০০ শিশুর প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন এবং ২ হাজার ২৪০ জন অতিথির আবাসনের সুযোগ থাকবে। এছাড়া মসজিদের খতিব ও ইমামদের মাধ্যমে প্রতিবছর সন্ত্রাস ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জনসচেতনামুলক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকমিএমএএম/ইআ