নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উচ্চমূল্যে চাপে বাংলাদেশের মানুষ। ভারতেও নিত্যপণ্যের অগ্নিমূল্যে জীবন দুর্বিষহ। কিন্তু, গরিব মানুষের ভরসা ডিমের দামও আকাশছোঁয়া। কলকাতার বাজারে ডিম বিক্রি হচ্ছে ঢাকার বাজারের অর্ধেক দামে।

সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিনে কলকাতার বৈঠকখানা বাজারের ডিমপট্টিতে এক ডজন দেশি মুরগির ডিমের দাম ৬১ টাকা ৪৪ পয়সা। ঢাকার বাজারে এক ডজন ডিমের দাম ১৩০ টাকা। কলকাতার বাজারে যেখানে একটি ডিম বিক্রি হচ্ছে পাঁচ টাকা বারো পয়সায়, সেখানে ঢাকায় একটি ডিমের দাম প্রায় ১১ টাকা। পরিবহন ব্যয় এবং মুরগির খাবারের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় তার প্রভাব পড়েছে দু’দেশের বাজারেই। কলকাতায় সোমবার পেট্রল ১০৬ টাকা তিন পয়সা লিটার পিছু, ডিজেল ৯২ টাকা ৯৬ পয়সা লিটার ও রান্নার এলপিজি গ্যাস ১০৭৯ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। গোটা কাতলার দাম তিনশো টাকা, কাটা কাতলা সাড়ে চারশো টাকা, গোটা রুই বিক্রি হচ্ছে একশো সত্তর টাকা কিলো দরে।


চিংড়ির দর সাড়ে তিনশো টাকা কিলো। মুরগি দুশো টাকার নিচে নামছেই না। ছাল সমেত মুরগির কিলো ২১০ টাকা, ছাল ছাড়ানো মুরগি ২২০ আর বোনলেস মুরগি ২৩০ টাকা প্রতি কিলোগ্রাম। পাঁঠার মাংস ৮০০ টাকা কিলো। রেওয়াজি খাসি হলে আর একটু বেশি। বলা হয়ে থাকে যে কোনও জায়গার দ্রব্যমূল্যের বিচার হয় সেখানকার সোনা রুপোর দর দেখে। কলকাতায় চব্বিশ ক্যারেট এর সোনা দশ গ্রাম ৫১ হাজার টাকা। বাইশ ক্যারেট দশ গ্রাম ৪৬ হাজার সাতশো পঞ্চাশ টাকা। এক কিলোগ্রাম রুপোর দাম ৫৫ হাজার টাকা। বাজারের এই অবস্থায় মধ্যবিত্তের মাথায় হাত। হাত আর নামছেই না।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/মাজ/ইআ-১০