ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযানে আংশিক সেনা সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়। শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শতাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।


রাশিয়ার স্বাধীন মানবাধিকার সংগঠন ওভিডি-ইনফো জানায়, গতকাল বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার প্রধান দুটি শহর মস্কো এবং সেন্ট পিটার্সবাগসহ ৩৮টি শহরে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অন্তত ১৩০০ বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে।

আন্দোলনকারীরা পুতিনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ‘যুদ্ধ নয়!’ এবং ‘আমাদের সন্তানদের জীবন’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতির উদ্দেশ্যে টেলিভিশনে ভাষণ দেন পুতিন। ভাষণে তিনি আরও সেনা সমাবেশের একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষরের কথাও জানান। এই ডিক্রির মাধ্যমে তিন লাখ রিজার্ভ সৈন্যকে ডাকা হবে। ইউক্রেন যুদ্ধের ফলাফল নিজেদের পক্ষে আনতে আরও সেনা পাঠাতে চান তিনি।

টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে পুতিন বলেন, পশ্চিমারা ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তি চায় না। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে, রাশিয়াকে ধ্বংস করা। রাশিয়া তার ভূখণ্ডকে রক্ষায় লড়াই করছে।

পুতিন আরও বলেন, পশ্চিমারা পারমাণবিক অস্ত্রের ভয় দেখাচ্ছে। এর জবাব দেওয়ার জন্য মস্কোর হাতে প্রচুর অস্ত্রের মজুত রয়েছে।

অন্যদিকে গত মঙ্গলবার ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক এবং দক্ষিণাঞ্চলয় খেরসন প্রদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা রাশিয়ার সঙ্গে একীভূত হতে গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে। আগামী ২৩ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই গণভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে।

এরপর দিনই পুতিন ইউক্রেনে অতিরিক্ত সেনা সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ঢাটা/ইআ-০৩